শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ১১ জুন ২০২১

আরও ৬ লাখ টিকা আনতে চীন যাচ্ছে বিমান

আরও ৬ লাখ টিকা আনতে চীন যাচ্ছে বিমান

বৃহস্পতিবার ঢাকায সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “১৩ তারিখে ৬ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। আমরা এখান থেকে দু’টি সি-১৩০ বিমান পাঠাচ্ছি। ওরা ওইদিনই গিয়ে নিয়ে আসবে।”

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।

সেরাম থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হলেও ভারত মহামারীর করাল গ্রাসে পড়লে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। ফলে বাংলাদেশে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পর আর পায়নি।

এরপর সরকার টিকার জন্য চীনের দিকে হাত বাড়ায়। চীন ইতোমধ্যে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে, ২৫ মে যার প্রয়োগ শুরু করা হয়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানায় চীন। সর্বশেষ চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা।

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা টিকা উৎপাদনের আলোচনাও চালাচ্ছে। এর বাইরে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকা আমদানি এবং যৌথ উৎপাদনের আলোচনাও চলছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে টিকা আমদানী ও যৌথ উৎপাদনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

চীন সরকারের পাশাপাশি চীনা কমিউনিস্ট পার্টিও চিকিৎসা সরঞ্জাম উপহার পাঠাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য বিভিন্ন রকম চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে। টিকার জন্য যাওয়া উড়োজাহাজেও একটা অংশ আসবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “কোভিড ভ্যাকসিন যাতে আমরা দেশে উৎপাদন করতে পারি, সেই চেষ্টা করছি। এজন্য সবকিছু ইতিবাচক।

”আমরা আশা করি, খুব শিগগির ঘোষণাও করতে পারব। কোন ওষুধ কোম্পানিকে ওরা গ্রহণ করবে, এটা তাদের উপর নির্ভর করছে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, তারপর সক্ষমতা দেখে তাদেরকে যৌথ ‍উৎপাদনের সুযোগ দেবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত হবে এসব কাজ। তখন আর কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার থাকবে না। আশা করি, আমরা রপ্তানিকারক হব।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

করোনাভাইরাসের টিকা সার্বজনীন না হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে অনুষ্ঠানে হতাশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিন থেকে বলে আসছিলেন, কোভিড ভ্যাকসিন হবে জনগণের সম্পত্তি, কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া সব দেশের লোক এটা পাওয়া উচিত। এটা আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি।”

এর বিপরীতে ধনী দেশগুলো মোট টিকার ৯৯ দশমিক ৭০ শতাংশ তাদের দখলে রাখার তথ্য উল্লেখ করে এই বৈষম্যের সমালোচনা করেন মোমেন।

তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার ২৫ মিলিয়ন। আমরা খবর পেয়েছি, তারা ৯৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রেখে দিয়েছে। আমরা তাদেরকেও রিকুয়েস্ট করেছি দেওয়ার জন্য। তারাও বলেছে দিবে।

“সবাই বলে দিবে, কিন্তু হাতে আসছে না।”

 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু