অতিরিক্ত পালং শাক খেলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ
শাক আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা এক কথায় বাঞ্ছনীয়। কারণ শাক ছাড়া সুষম খাবারের শর্তই পূরণ হয়না। আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখা। আর এই সময়ের শাকের মধ্যে পালং শাক অত্যান্ত উপকারি একটি শাক।
এই পালং শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেতকণিকা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে। বহু গুণে গুণান্বিত সবুজ এই শাকটি। তবে এই শাকের আছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।
পালং শাক অতিরিক্ত খাওয়া হলে নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে অতিরিক্ত পালংশাক খাওয়ার প্রভাব সম্পর্কে জানানো হয়েছে। জানা না থাকলে জেনে নিন পালং শাকের ক্ষতির দিকগুলো।
> পালং অক্সালেটস যৌগ সমৃদ্ধ যা পাথর সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তাই পালং খাওয়া কিডনি বা বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। মূত্রে ' অক্সালাট' বৃদ্ধির ফলেই মূলত কিডনিতে পাথর দেখা দেয়।
> রক্ত ঘন হতে বাধা তৈরি করে রক্ত পাতলা হওয়া ওষুধ। পালংশাক ভিটামিন কে সমৃদ্ধ, যা রক্ত ঘনীভূত করে। ফলে অতিরিক্ত পালংশাক গ্রহণ করলে রক্ত পাতলা হওয়া ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
> পালং খাওয়া কেবল বৃক্কে পাথর হওয়ার ঝুঁকিই বাড়ায় না পাশাপাশি খনিজ শোষণেও প্রভাবিত করতে পারে। 'অক্সালেটস' এক ধরনের পুষ্টি-পরিপন্থি উপাদান যা খনিজ শোষণে বাধা দেয়। বিশেষত, ক্যালসিয়াম ও লৌহ শোষণে বাধা দিতে পারে এই উপাদান।
> বাত বা আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ যা মূলত শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকার কারণে হয়ে থাকে। পালংশাকে আছে পরিশোধক উপাদান যৌগ যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। ফলে বাতের ব্যথা বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
> পালংশাক রক্তচাপ কমানোতে প্রভাব রাখতে পারে। তবে পরিমাণে বেশি পালংশাখ খাওয়া হলে তা রক্তচাপ অনেক বেশি কমিয়ে ফেলতে পারে। ফলে দুর্বল ও বমি বমি ভাব অথবা বুক ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দৈনিক গাইবান্ধা