• মঙ্গলবার   ২৮ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৩ ১৪২৯

  • || ০৫ রমজান ১৪৪৪

ফোনসহ যেকোনো ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি অকেজো হলে যা করবেন

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩  

স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা হেডফোন-চার্জার; অকেজো হয়ে গেলে আমরা ফেলে দিই। অথবা এসব জিনিসের স্থান হয় স্টোর রুমে। এতে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির আবর্জনার স্তূপ জমে। কারণ, সেগুলো পুরোপুরিভাবে পুনর্ব্যবহার করা যায় না।

জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে ৫৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ইলেকট্রিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে মাত্র ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা গেছে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, স্বাস্থ্যের জন্য ই-বর্জ্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

তাহলে এসব ই-বর্জ্য কী করবেন? এ নিয়ে প্রতিবেদনে ছেপেছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তাতে সেসবের উত্তর দেয়া হয়েছে।

১. আপনি প্রথমেই ই-বর্জ্য অপসারণ সেবা নিতে পারেন। বর্তমানে অনেক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এ কাজ করে থাকে। তারা আপনার কাছ থেকে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি নিয়ে পুনর্ব্যবহার কেন্দ্রে পাঠাতে পারে। এতে আপনি আবর্জনামুক্ত থাকলেন। পাশাপাশি পণ্যের পুনর্নবায়নও নিশ্চিত হলো।

২. অনেক প্রতিষ্ঠান ই-বর্জ্য খুচরায় কিনে নেয়। যেমন-স্ট্যাপলস ও বেস্ট বাই। এমনকি প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ও গুগলও ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নিজেদের পুরোনো পণ্য গ্রহণ করে। পরে সেগুলো পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করে। অর্থাৎ আপনার কোনো পণ্য নষ্ট হলে সেটি নিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে যেতে পারেন।

৩. সর্বোপরি একটি ইলেকট্রিক পণ্য সর্বোচ্চ কতদিন ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টা করবেন। নতুন পণ্যের দিকে ঝুঁকবেন না। এতে সময়, অর্থ, শ্রম-সবই সাশ্রয় হবে আপনার। পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ও মানসিক দিক থেকেও ভালো থাকবেন।

 

দৈনিক গাইবান্ধা
দৈনিক গাইবান্ধা