শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখার আমল

ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখার আমল

সারাদিন অফিস-কাজ শেষে ঘরে ফিরে সবাই একটু স্বস্তি খুঁজেন। সুখের আবেশে শরীর-মন জুরাতে চান। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মাঝে দ্বিধা-বিভক্তি সৃষ্টি করে পরিবেশ অশান্ত করার পয়তারা খুঁজে মানুষের চিরশত্রু শয়তান। ঠুনকো অজুহাতেও অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের মাঝে তৈরি হয় অসন্তোষ। এতে মানুষের ঘর ও পরিবারে সুখ-শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকে না।

শয়তান আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর শপথ করেছিল সে মানুষকে বিপথগামী করবে প্রতি মুহুর্তে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘...আদম সন্তানদের পথভ্রষ্ট করার জন্য আমি অবশ্যই আপনার সরল পথের ওপর বসে থাকব। অতঃপর আমি অবশ্যই তাদের কাছে আসব তাদের সামনে, পেছনে, ডানে, বামে সবদিক থেকে। আর তখন আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।’ -(সূরা আরাফ: ১৪-১৭)

নিজ ঘরকে শয়তানের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা জরুরি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু আমলের কথা বলেছেন, এর মাধ্যমে নিজের ঘরকে শয়তানের প্রভাবমুক্ত রাখা যাবে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরসমূহকে কবর বানাবে না। নিশ্চয়ই যে ঘরে সুরা বাকারাহ তেলাওয়াত করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে।’ -(তিরমিজি, ৪/ ১৪৬)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত এই হাদিসের হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরসমূহকে কবরস্থান বানাতে নিষেধ করেছেন, যাতে ঘরসমূহ যেন কবরের মতো না হয়, যেখানে নামাজ ও কোরআন পাঠ হয় না। নামাজ না থাকা অবস্থায় ঘরকে কবর বলা হয়েছে। কারণ, কবরে নামাজ আদায় করা বৈধ নয়। 

তারপর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও সংবাদ দেন, যে ঘরের অধিবাসীরা তাতে সুরা বাকারাহ তেলাওয়াত করে সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে। কারণ, এ সুরার তেলাওয়াতের বরকতে এবং তাতে যা রয়েছে সে অনুযায়ী আমল করার কারণে শয়তান তাদের প্রতারণা দেওয়া ও গোমরাহ করা থেকে নিরাশ হয়ে যায়।

হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, কোনো ব্যক্তি যখন নিজ ঘরে ঢুকে এবং প্রবেশ করার পর খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন (তার সহযোগীদের) বলতে থাকে, ‘(এই ঘরে) তোমাদের কোনো থাকার জায়গা নেই। আর এই ঘরে তোমাদের রাতের খাবারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।

আর যদি কোনো ব্যক্তি ঘরে ঢুকে এবং প্রবেশের সময় আল্লাহকে স্মরণ না করে, তখন শয়তান (তার সহযোগীদের) বলে, তোমরা তোমাদের থাকার জায়গা পেয়ে গেছো। আর সে যদি খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ না করে, তখন শয়তান (তার সহযোগীদের) বলে, ‘(এই ঘরে) তোমরা তোমাদের থাকার জায়গা ও রাতের খাবার পেয়ে গেছো।’-(মুসলিম, ১/৫৩৯,৭৮০)

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু