ঋণ গ্রহণে সতর্কতা প্রয়োজন
জান্নাতপ্রত্যাশী মুমিনদের ঋণের ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকা জরুরি। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির মৃত্যু হবে অহংকার, খিয়ানত এবং ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৭২)
অর্থাত্ ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা গেলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তা ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) কারো জানাজা পড়ানোর আগে তার ঋণ আছে কি না, তা খবর নিতেন।
মৃত ব্যক্তির সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টনের আগে মৃতের ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছেন। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১৭২২৭)
কারণ আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া ব্যক্তিও তার ঋণের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না— যতক্ষণ না তার পক্ষ থেকে তার ঋণ পরিশোধ করা হয়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২২৪৯৩)
রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার কাছে যদি ওহুদ পাহাড়ের সমান সোনা থাকত, তাহলে আমার পছন্দ নয় যে তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমার কাছে তার কিছু অংশ অবশিষ্ট থাকুক। তবে সেই পরিমাণ ছাড়া, যা আমি ঋণ পরিশোধ করার জন্য রেখে দিই। (বুখারি, হাদিস : ২৩৮৯; মুসলিম, হাদিস : ৯৯১)
ঋণের কারণে মানুষ সমাজে লাঞ্ছিত হয়। তাই প্রয়োজন ছাড়া ঋণ গ্রহণ থেকে সতর্ক থাকা উচিত। অন্যদিকে পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করা আত্মসাতের শামিল। মহান আল্লাহ আমাদের ঋণমুক্ত ও সুদমুক্ত জীবন দান করুন।
দৈনিক গাইবান্ধা