শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৬ জুন ২০২২

অনিয়মিত ও সাধ্যাতীত আমল নয়

অনিয়মিত ও সাধ্যাতীত আমল নয়

পরিমিত ও নিয়মিত—দুটি বড় গুণ, যা মানুষের জীবনে উন্নতি আনতে সাহায্য করে। নিয়মমাফিক চেষ্টা এবং নিশ্ছিদ্র সাধনা মানুষকে উচ্চতার শিখরে নিয়ে যায়। অধিক পরিমাণে আমলের চেয়ে অল্প ধারাবাহিক আমল আল্লাহর কাছে প্রিয়। এই ধারাবাহিকতার মাধ্যমে আমরা বিশেষ স্তরে উন্নীত হতে পারি।

ধৈর্য আর ধারাবাহিক সময় দিয়ে যেকোনো অসম্ভবকে হাতের নাগালে আনা যায়। হতাশ হয়ে ভেঙে পড়লে সাধারণত কোনো কিছুই অর্জিত হয় না। অধ্যবসায় যাদের জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছে তারাই সফলতার সিঁড়িতে আরোহণ করেছে। যেকোনো জিনিস অর্জন করতে হলে সে কাজে অধ্যবসায় থাকতে হবে। আর তখনই তার লক্ষ্য অর্জিত হবে। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে এমন আমল সবচেয়ে প্রিয় যা কম হলেও স্থায়ীভাবে করা হয়। হাদিসের বর্ণনাকারী কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ বলেছেন, আয়েশা (রা.) কোনো আমল শুরু করলে তা স্থায়ী ও অবশ্যকরণীয় করে নিতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৭১৫)

সাধ্যাতীত আমল না করা

এক দিনে অনেক আমল করার চেয়ে ধারাবাহিক প্রতিদিন অল্প অল্প করা আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক পছন্দনীয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ধারাবাহিক আমলের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। আরেক হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে যত সিয়াম পালন করতেন, সারা বছরে অন্য কোনো মাসে তিনি এত অধিক সিয়াম পালন করতেন না। আর তিনি (লোকদের উদ্দেশে) বলতেন, তোমরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী যত বেশি পারো আমল করো। কেননা আল্লাহ তাআলা (তোমাদের সওয়াব দানে) ক্লান্ত বা বিরক্ত হবেন না, যতক্ষণ তোমরা অক্ষম হয়ে না পড়বে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে, যা কোনো বান্দা অব্যাহতভাবে করে থাকে— যদিও তা পরিমাণে কম হয়। (মুসলিম, হাদিস : ২৬১৩)

আমল শুরু করে ছেড়ে না দেওয়া

প্রিয় নবী তাঁর সাহাবিদের আমল শুরু করে আবার ছেড়ে দিতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বলেন, হে আবদুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মতো হয়ো না, সে রাত জেগে ইবাদত করত, পরে রাত জেগে ইবাদত করা ছেড়ে দিয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৫২)

পাঁচ ভাগে নামাজ দেওয়ার কারণ

আল্লাহ তাআলা বান্দার ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য নির্ধারিত সময়ে আসমান ও জমিনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। এই সময়গুলোতে পৃথিবীতে যে পরিবর্তন হয়, সেটা মানুষের শরীর ও মনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। রাতের নিকষ কালো অন্ধকার ভেদ করে প্রভাতের আলো ফোটে, তখন আল্লাহর প্রিয় বান্দা ফজরের নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে প্রভুর প্রশংসা করে। এভাবে দিন-রাতের পরিবর্তনের সময় আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দিয়েছেন। (আহকামে ইসলাম আকল কি নজর মে, পৃষ্ঠা : ৪৮)

আল্লাহ ইচ্ছা করলে এ নামাজ একসঙ্গে অথবা দুই ওয়াক্তে ফরজ করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা নাজামকে পাঁচ সময় ভাগ করে দিয়েছেন; যাতে বান্দা কিছুক্ষণ পর পর আল্লাহকে স্মরণ করে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে সে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা আমাদের ধারাবাহিকভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু