শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১৯ অক্টোবর ২০২১

নবীজির (সা.) মাঝে রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ

নবীজির (সা.) মাঝে রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ

মহান প্রভু আল কোরআনে ঘোষণা করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (আল আহজাব-২১) অপর আয়াতে তিনি বলেন, ‘আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (আল কলম-৪) চিরশান্তি ও ঐক্য, সম্প্রীতিপূর্ণ একটি স্বর্গীয় সমাজ প্রতিষ্ঠার সুদৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রেরিত হয়েছিলেন নবী মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর আদর্শ অনুসরণে দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো দাঁড়াতে পারে একটি জাতি। একমাত্র তাঁর অনুসৃত আদর্শই সর্বস্তরের মানবের ইহ ও পরকালের চিরকল্যাণ বয়ে আনতে পারে। উপহার দিতে পারে আনন্দময় জীবন, বিনয়ী ও আত্মত্যাগী মানব, শ্রেণিহীন-বৈষম্যহীন নির্মল স্বাচ্ছন্দ্য সমাজ। গড়তে পারে দ্বন্দ্বমুখর এ ধরায় আবার সৌভ্রাতৃত্বের অকৃত্রিম বন্ধন, শান্তি-সুখের অনন্য নীড়। ইতিহাসের পাতায় রয়েছে এর ঝলমল নমুনা, বাস্তব আদর্শ। মদিনায় ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে মহানবী (সা.)-এর উজ্জ্বল নমুনা রেখে গেছেন। শান্তি ও মানবতার আহ্বান তিনি পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। তাঁর আনীত মহামুক্তির পয়গাম ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। দলে দলে মানুষ এসে তাঁর পতাকাতলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে আরম্ভ করে। সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছিল ‘নেই নেই, নেই কোনো মাবুদ আল্লাহ ছাড়া।’ তাদের হানাহানি সেদিন রূপ নেয় ভালোবাসায়, কপটতা পাল্টে আসে উদারতা। নিজে না খেয়ে অপরকে খাওয়ানোর শিক্ষাও তারা পেয়েছিল। পেয়েছিল বিনয় ও আত্মত্যাগের পরম শিক্ষা, প্রতিশোধের পরিবর্তে ধৈর্য, সহনশীলতা এবং ক্ষমা করার আদর্শ। শত বছরের শত্রুও সেদিন পরিণত হয়েছিল আপন বন্ধু হিসেবে।

রসুলে খোদা (সা.) একদিকে ছিলেন দিশাহারা জাতির সার্বিক কল্যাণের খোদায়ী রাহবার। অন্যদিকে তিনি ছিলেন গণমানুষের মৌলিক চাহিদা এবং আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানকারী মহান ব্যক্তি। মানব কল্যাণে তিনি ছিলেন দরদি প্রাণ। সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ছিলেন তিনি নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। পারিবারিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অসাধারণ গৃহকর্তা। এক কথায় জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপামর বিশ্ববাসীর জন্য এক অনন্য আদর্শ। আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ।’ (আলে ইমরান-১০৩)। শান্তি-শৃঙ্খলা নামক কাক্সিক্ষত বস্তুটি আজ আমাদের নাগালের বাইরে। ইসলামের সোনালি অধ্যায় থেকে এ সমাজ দূরে-অনেক দূরে। পৃথিবীর শান্তিকামীরা যেখানেই সৌভ্রাতৃত্বের নীড় গড়ার স্বপ্ন আঁকছে সেখানেই বিধ্বস্ত হচ্ছে অশুভ হস্তের হিংস্র থাবায়। অশান্তি, অরাজকতা, শোষণ, অত্যাচার, খুন, সন্ত্রাস, হিংসা-বিদ্বেষ ও পরনিন্দা আজকের সমাজের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঐক্য সম্প্রীতি এ সমাজে সোনার হরিণ। ইসলাম ছাড়া অন্য যাবতীয় তন্ত্রমন্ত্র এ সমস্যার সমাধান দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ও হচ্ছে। ইসলাম একটা সম্প্রীতিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেখানে অন্যায় নেই। উগ্রতা নেই, শোষণ-নিপীড়ন নেই। নেই প্রতিশোধের জঘন্য প্রবণতা। আছে শুধু বিনয়, আত্মত্যাগের বিস্ময়কর কাহিনি, ধৈর্য-সহনশীলতার সচিত্র উদাহরণ আর উদারতার নির্মল আদর্শ। অতএব, এ পৃথিবীতে আবারও সুখ-শান্তির নীড় গড়ার লক্ষ্যে, স্বর্গীয় সমাজ প্রতিষ্ঠার মানসে মানবতার নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু