শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

চাকরির ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়া কি জায়েজ?

চাকরির ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়া কি জায়েজ?

অনেকসময় বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে হয় আমাদের। বিশেষ করে চাকরির ক্ষেত্রে। ঘুষ দেওয়া নেয়া দুটো আইনের চোখে যেমন অপরাধ তেমনি ইসলামেও এটি গুনাহের পর্যায়ে পড়ে। তবে বাধ্য হয়ে ঘুষ দেওয়া জায়েজ আছে। কিন্তু ঘুষ নেয়া কখনোই জায়েজ নয়।

ঘুষ দিয়ে চাকরি অর্জনকারীর উপার্জন বৈধ হওয়ার জন্য অবশ্যই কয়েকটি শর্ত-কারণ পাওয়া যেতে হবে। যেমন- ০১. ঘুষ দিয়ে উক্ত কাজ করা ছাড়া অন্য কোনো কাজ করার সুযোগ না থাকে। ০২. যথার্থ ও সঠিকভাবে উক্ত কাজ করার যোগ্যতা ও মানসিকতা থাকে। ০৩. মূল বিলের চেয়ে বেশি বিল কর্মস্থলের তহবিল থেকে গ্রহণ না করা হয়।

উপরোক্ত শর্তসাপেক্ষে বাধ্য হয়ে- ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে কাজ নিয়ে সঠিকভাবে তা সম্পন্ন করলে, তখন ঘুষ দেওয়া জায়েজ হতে পারে এবং সেই উপার্জন হালাল হবে।

মনে রাখা জরুরি যে, যারা ঘুষ নিচ্ছেন- তারা হারাম কাজ করছেন। কিন্তু যারা বাধ্য হয়ে দিচ্ছেন, তাদের উপার্জন হারাম বলা যাবে না। কিন্তু ঘুষ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করার সুযোগ যদি থাকে কিংবা যোগ্যতা না থাকলে ও যথার্থভাবে কাজ আঞ্জাম না দিলে; অথবা মিথ্যা বিল লেখার যদি চুক্তি করা হয়— তাহলে উক্ত কাজ ও সেই উপার্জন হালাল হবে না।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলন, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্মসাৎ করার উদ্দেশে শাসক কর্তৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৬১)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ২৩১৪৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস :  ১৬৪; সুনানে দারেমি, হাদিস : ২৫৮৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২২৫; সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪৯০৫)

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, রাসূল বলেছেন- ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-২৩১৩, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৮০, সুনানে তিরমিজী, হাদিস নং-১৩৩৬)

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ