দৈনিক গাইবান্ধা
  • রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩০

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

প্রসূতিসেবায় ১১ বার জাতীয় পুরস্কার পেল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩  

মাসে তিনশ প্রসূতি মায়ের সেবা দিয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। বছরে গড়ে অন্তত ৩ হাজার ৮৮০ জন প্রসূতি সেবা পেয়ে থাকেন গাইবান্ধা মাতৃসদন থেকে। ফলে গাইবান্ধার মা ও শিশুরা নিরাপদভাবে তাদের নবজাতক নিয়ে বাড়ি যেতে পারছেন। প্রসূতিদের কাছে আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।

নিরাপদ মাতৃত্ব শব্দটাকে বাস্তবে রূপ দিতে চেষ্টার কমতি নেই ডাক্তারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সফল কার্যক্রমের জন্য ১১ বার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সব কিছুই একটু আলাদা। প্রস্তুত থাকেন ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আয়া, নার্স, ভিজিটররা। যেন কারও ক্লান্তি নেই। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রসব সেবা, প্রসবত্তোর সেবা, শিশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সবাই। নিয়মিত স্বাভাবিক প্রসব ছাড়াও বিনা পয়সায় মা ও শিশুকে সুস্থ রাখতে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। মাতৃসদনের ভিজিটর লায়লা বিনতে ফিরোজ জানান, নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা দিতে আমরা কাজ করি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ডেলিভারি করাই। প্রসব-পরবর্তী মা ও শিশুর যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিই। ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৪৮ জন, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৩৮৩, ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৩৮৫, ২০২০ সালে ২ হাজার ৩১০, ২০২১ সালে ২ হাজার ৬১৩, ২০২২ সালে ২ হাজার ৭০৭ সহ এই ৫ বছরে ১২ হাজার ২০১ জন দরিদ্র নারীর নিরাপদ মাতৃত্ব ও ডেলিভেরি হয়েছে।

মাতৃসদনে সার্বিক সহায়তা ও নিরাপদ মাতৃত্বসেবা দিতে লায়লা বিনতে ফিরোজ, লুৎফুন্নাহার, লায়লা আন্জুমানোয়ারা বেগম, তৌহিদা বেগম, রাহেলা খাতুন ও ফেরদৌসি বেগমসহ ৬ জন ভিজিটর সেবা দিয়ে থাকেন রাত-দিন। ডাক্তারা সেকেন্দার আলী বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে থাকি প্রসূতিদের। এখানে কাউকে টাকাও দিতে হয় না। প্রশংসিত সেবার জন্য আমরা বারবার সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছি। আমাদের এক ঝাঁক দক্ষ কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। মাতৃসদনে সুন্দরগঞ্জের ছাপরহাটি থেকে প্রসূতি শ্যামলী রানী এসেছেন ডেলিভারি করতে। ভালো সেবা পেয়ে তিনি খুশি। মাতৃসদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার আফছারী খানম বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেবার মান অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।

দৈনিক গাইবান্ধা
দৈনিক গাইবান্ধা