গাইবান্ধায় মিতুর কারখানায় কাজ করে ৬০০ নারী স্বাবলম্বী
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার নারী উদ্যোক্তা মোছা. মিতু বেগম। একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ইতোমধ্যেই তিনি তার সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপও দিয়েছেন। মাত্র একটি সেলাই মেশিন দিয়ে ঘরোয়াভাবে সেলাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই কঠোর পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে মিনি গার্মেন্টস কারখানার মালিক হয়েছেন। এরই মধ্যে অন্যদেরও স্বপ্ন দেখিয়ে এখন ৬ শতাধিক নারী তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
নারী উদ্যোক্তা মিতু বেগম গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল নুনিয়াগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিজ হাতে গড়া গার্মেন্টসে মিতু বেগম নিরলসভাবে কাজ করেই সময় অতিবাহিত করছেন। সারাক্ষণ কাজের মধ্যেই ডুবে থাকেন তিনি। তার সঙ্গে নারী শ্রমিকরাও সারিবদ্ধভাবে বসে আপন খেয়ালে কাজ করেন।
জানা যায়, গত ২০০৯ সালে প্রথম একটি সেলাই মেশিন নিয়ে কাটিং ও সেলাই, হাতের কাজ, এপ্লিকের কাজ, নকশিকাঁথা, নকশি বেডশিট, বেডশিট, বুটিকের ড্রেস, চাদর, পর্দা, কুশন ও টেবিল ম্যাট তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করতেন। এভাবে যখন যে কাজের অর্ডার পেতেন, তখনই সেই কাজ করতেন মিতু। এভাবেই কাজ এগিয়ে যেতে থাকে মিতুর ঘরোয়া মিনি কারখানার। এর সঙ্গে দিনে দিনে বৃদ্ধি হতে থাকে নারী শ্রমিকের। এরপর মিতু গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের আওতায় পলাশবাড়ী বিআরডিবির মাধ্যমে ৩০ দিনের এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি নিজের কারখানার নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে তাদেরও পলাশবাড়ী বিআরডিবি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের সুযোগ করে দেন।
ব্যবসায়িক বুদ্ধি, রুচিবোধ, গ্রাহকের মানসিকতা ও সৃজনশীল চেতনা থাকার কারণে তার তৈরিকৃত পণ্যের মান ভালো হওয়ায় জেলা-উপজেলার গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকা নিউ মার্কেট ও আড়ং থেকে একের পর এক অর্ডার আসতে থাকে। তাদের কথামত অর্ডার অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে নারী শ্রমিক আরও বৃদ্ধি করতে হয়। বর্তমানে কারখানায় এবং বাড়িতে কাজ করছেন ৬০০ নারীশ্রমিক। মাসে কাপড়ের বিভিন্ন কাজের অর্ডার আসে ৫ থেকে ৭ হাজার পিসের।
আগে মিতুর সংসারে একটু টানাপড়েন থাকায় এবং মায়েদের শিখানো হাতের কাজ সম্বল করে শাড়িতে পুঁথি বসানো, জরির কাজ, নকশিকাঁথা, পাঞ্জাবি, বেডশিট, ম্যাক্সি, স্কার্ট, স্কার্ফ, বিয়ের পোশাক, লেহেঙ্গা, বোরকা, পহেলা বৈশাখ ও পহেলা ফাগুনের পোশাক, বালিশের কভার, ডাইনিং সেটসহ ঘর সাজানোর আইটেম তৈরি করতেন প্রথমে। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পেরেছেন অন্যদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করে চলছেন।
কারখানাটিতে দেখা যায়, নারী শ্রমিকেরা গোল হয়ে এবং সারিবদ্ধভাবে সুই-সুতো,জরি, জামার ওপর গ্লাসের কাজ করছেন। এছাড়াও বেড শিট, কুশন, শাড়ি, ওড়না, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, নকশিকাঁথা, সালোয়ার-কামিজের ওপর বিভিন্ন নকশা দিয়ে কাজ করছেন। কোনও কোনও নারী কাপড় বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কাজ করে জমা দিয়ে পারিশ্রমিক নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে ভ্রাম্যমাণ আরও ২০০ নারী কাজ করে থাকেন। তারা সংসারের কাজ সেরে দুটি টাকা অতিরিক্ত আয়ের আশায় নিথর বসে না থেকে মিতুর কারখানার কাপড় নিয়ে গিয়ে বাড়িতে কাজ করে জমা দিয়ে যাচ্ছেন। আবার কাপড় নিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে অনেকেই এখন স্বামীর বোঝা না হয়ে নিজের হাত খরচ মিটিয়ে স্বামীর হাতে মাসের শেষে কিংবা সপ্তাহে কিছু টাকা ধরিয়ে দিতে পারছেন। এতে করে সংসারেও সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
শ্রমিক তাজমিনা আকতার বলেন, আমার সংসারে খুবই অভাব ছিল। কোনও কূল-কিনারা করতে পারছিলাম না। কাজও তেমন একটা জানা ছিল না। ২০১৬ সালে আমার এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে পরিচয় হয় মিতু আপার সাথে। তিনি আমাকে পলাশবাড়ী বিআরডিবি অফিসের এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষণ নেওয়ায়। এরপর তার কারখানায় যোগদান করি। সেই থেকে আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখাতে পারছি।
আরেক নারী শ্রমিক রুমি বেগম বলেন, সংসারে সবকিছুর ঘাটতি ছিল। মিতু আপা আমাকে বিআরডিবি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দিয়ে তার কারখানায় কাজ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। নিজের চাহিদা মিটিয়ে স্বামীর হাতে দুটো টাকা তুলে দিতে পারছি। এটাই কম কীসের!
কারখানা চালাতে মিতুকে সহযোগিতা করছেন তার চাচাতো বোন মুক্তা। তিনি বলেন, আমি মিতু আপুর কারখানার যেসব নারী শ্রমিক বাড়িতে কাপড় নিয়ে গিয়ে কাজ করে তাদের নাম রেজিস্ট্রার বইয়ে লিপিবদ্ধ করি এবং কাপড়ের পরিমাণ লিখি। পাশাপাশি রিজেক্ট কাপড় বাছাই করি। অনেক নারী শ্রমিক আছেন যারা একটু ভুল করেছেন। আমি সেই ভুলগুলো ধরে তাদের নিকট কাজ করে নিই।
সফল নারী উদ্যোক্তা মোছা. মিতু বেগম বলেন, জীবনে কোনও কিছুই সহজ পথে আসে না। প্রতিটি পথেই কাঁটা বিছানো থাকে। আর তা উপড়ে ফেলার সাহস যাদের আছে কেবল তারাই জয়ী হবেন। আজ আমি সফল হয়েছি। দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস, মার্কেট থেকে বড় বড় অর্ডার আসছে আমার কাছে। তাদের চুক্তি মোতাবেক সঠিক সময়ে মানসম্মত মাল বুঝে দিতে হয়। এভাবে কাজ করে প্রতিমাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের ভিশন পণ্য ভিত্তিক পল্লী গঠনের লক্ষে এমব্রয়ডারি ট্রেডে একমাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়ে মিতুকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়। তাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

- আর কয়েকটি দৃশ্য ধারণ করেলেই নায়িকা হবেন পূজা
- বছরে একটি নয় দুটি বাছুর দেবে গাভী
- কোন মাসে কোন সবজি ও ফল চাষ করবেন?
- গোবিন্দগঞ্জে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন
- গাইবান্ধায় সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস উদ্বোধন করেন হুইপ গিনি
- অষ্টম-নবম শ্রেণীর পাঠপদ্ধতি শেখাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে শিক্ষকদের
- দেশে চালু হয়েছে পিতৃত্বকালীন ছুটি
- এখন শিশুরাও খুলতে পারবে মোবাইল ব্যাংক হিসাব
- মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য দেশের গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ
- ফেনীতে হচ্ছে ১০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
- জুন নাগাদ ৩০ বিলিয়ন ডলার হবে রিজার্ভ
- দলীয় কর্মীদের নির্বাচনমুখী হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- পাকিস্তান দলে শৃঙ্খলায় ইসলাম ধর্মের ভূমিকা দেখেন হেইডেন
- পরীমণি এত টাকা কোথায় পান, জানালেন নিজেই
- বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ‘জোড়া ধাক্কা’ ভারতের
- দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক?
- গোবিন্দগঞ্জে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কালাম আজাদের গণসংযোগ
- ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ
- গাইবান্ধার ঐতিহ্যবাহি রসমঞ্জুরি যা সবার কাছেই জনপ্রিয়
- যৌথ পর্যটন প্যাকেজে লাভবান হতে পারে নেপাল-বাংলাদেশ: স্পিকার
- নয়াদিল্লিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
- কার কাছে মার খেয়েছেন জাকারবার্গ
- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- নেপালে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’বার ভূমিকম্প
- গাইবান্ধায় সুশীল প্রকল্পের গবেষণার ফলাফল কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- গাইবান্ধায় খাল-বিলে ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদে লাভবান কৃষক
- কলাইয়ের বাম্পার ফলন, চাষও বেড়েছে
- পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা
- অর্থদণ্ড-শাস্তির বিধান রেখে হচ্ছে জুয়া প্রতিরোধ আইন
- ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- যৌন হয়রানির অভিযোগ সেট ছাড়লেন জায়েদের নায়িকা
- চলন্ত লঞ্চে কন্যার জন্ম, আজীবন যাতায়াত ফ্রি
- ওষুধ ভেবে স্বামীর এয়ারপড গিলে ফেললেনে স্ত্রী
- বাঁধনের সাজে নজর কেড়েছে ব্লাউজ আর কানের গয়না
- সাগরের তলদেশে মিলল রহস্যময় স্বর্ণের ডিম!
- গোবিন্দগঞ্জে নৌকায় ভোট চাইলেন আব্দুল লতিফ প্রধান
- চোখের নিমেষে সব শেষ, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল সাত মাসের শিশুটি
- গোবিন্দগঞ্জে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধন
- অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের অনন্য পদক্ষেপ
- অভাবের তাড়নায় দত্তক দেয়া শিশুটি ফিরে পেল মায়ের কোল
- ফুলছড়িতে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জিআর চাল বিতরণ
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তার পরিমাণ বাড়ল
- যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ সম্মাননা পেলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশ-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ঐতিহাসিক দিন: প্রধানমন্ত্রী
- গাইবান্ধায় বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
- তানজিম সাকিবের ফেসবুক পোস্ট আইসিসির সঙ্গে সাংঘর্ষিক
- মায়ের বিয়েতে ছেলের আবেগঘন বক্তব্য ভাইরাল
- অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে ক্ষমা নেই: প্রধানমন্ত্রী
- গাইবান্ধায় আঃ লীগের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের লিফলেট বিতরণ
- তিস্তা সেতুতে পাল্টে যাবে গাইবান্ধা-কুড়িগ্রাম মানুষের জীবনমান
