গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে অভিযান
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে অভিযানে গিয়ে বালু পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রাক্টর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে ও ৪টি ট্রাক্টর ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার লোকজন দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে এ অভিযানের প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কাঁটামোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করলে উভয় পাশের্^ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। অন্যদিকে প্রশাসন সেখানে কোন গাড়িতে আগুন দেয়া বা ভাঙচুরের ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবী করেছে।
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর গ্রামে অবৈধভাবে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলণ বন্ধে অভিযানে যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ বিন শফিক এর নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় বালু ব্যবসায়ী ও পরিবহণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পালিয়ে যান। বেলা ৩টার দিকে কাউকে না পেয়ে বালু পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে দেয় আভিযানিক দলটি। এ সময় সেখানে থাকা আরও ৪টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। তারা সেখান থেকে চলে আসার পর গ্রামের বিক্ষুব্ধ লোকজন দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁটামোড় নামক স্থানে অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল বলে জানা গেছে।
এ দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফ হোসেন জানান, বেলা ২টার দিকে অবৈধ বালু উত্তোলনের এই পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে কাউকে না পাওয়ায় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত শ্যালো মেশিন, পাইপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয়। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়া যাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়নি। অভিযানের বিষয়টি তখনই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে চলে আসার অনেক পরে ট্রাক্টরে আগুন দেয়ার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার ৩ ঘন্টা পর মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টিও রহস্যজনক। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক গাইবান্ধা