গাইবান্ধায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২২

আবহমান গ্রাম বাংলার সুপরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদের নাম “কচুরিপানা”। গাইবান্ধা জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় হাওর-বাঁওড়-খাল-বিল আর শস্য-শ্যামল সবুজে ভরপুর ছোট-বড় হাওর, বিল, ঝিল ও বাড়ির পাশের ডোবায় এখন ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন কচুরিপানা ফুল।
এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Eichhornia crassipes।
বাংলাদেশের বিল-ঝিল-হাওর-বাঁওড়ে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে। এসবের মধ্যে কিছু আছে যা আমাদের কাছে সৌন্দর্য বর্ধক, দৃষ্টিনন্দন, উপকারী কচুরিপানা বিভিন্ন নদী-নালা-খাল বিল, পুকুর, ডোবায় ও জলাশয়ে ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এবং জৈব সার তৈরিতে সাহায্য করে। কচুরিপানা ও তার ফুল জনপ্রিয় না হলেও বিভিন্ন সময়ে মাছ, গবাদিপশুর খাদ্য ও জৈব সার হিসেবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে।
গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিলে কচুরিপানার ফুল দেখতে পাওয়া যায়।
দেখা যায়, কচুরিপানা হলো ভাসমান এমন একটি প্রাকৃতিক জলজ উদ্ভিদ যার উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল (আমাজন), এর ৭টি প্রজাতি রয়েছে। গ্রীষ্ম-লীয় এলাকায় এটি খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে, এমনকি ৬দিনেরও কম সময়ে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে কচুরি ফুলের মতো এত চমৎকার ফুল খুব কম আছে। পরিমাণগত দিক দিয়েও এর মতো এত ব্যাপক বিস্তৃত ফুল খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়- “দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে শুধু দু’পা ফেলিয়া।” সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এক আগাছা উদ্ভিদ যার কিনা উপকারের চেয়েও অপকারী দিক কোনও অংশেই কম না, এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না।
আমাদের দেশের কৃষকেরা আলু, পটলসহ বিভিন্ন সবজি চাষে কচুরিপানার সার ব্যবহার করে থাকেন। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জলাশয় থেকে কচুরিপানার ফুল উঠিয়ে খেলা করে। মেয়েরা খোপায় বাঁধে। কচুরিপানার ৭টি প্রজাতি আছে। এর পুরু চকচকে এবং ডিম্বাকৃতির পাতা পানির উপরি ভাগে প্রায় ১মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এর কাণ্ড দীর্ঘ, বহু বিভক্তি মূল বের হয়। যার রং বেগুনি, সাদা, গোলাপি ও হলুদ। একটি পুষ্প থেকে ৯টি থেকে ১৫টি আকর্ষণীয় পাপড়ির ফুলের থোকা বের হয়।
কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে। ৩০বছর পরও অঙ্কুরোদগম ঘটাতে পারে। কৃষি বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করতে সময় লাগে ৭০দিন। কিন্তু কচুরিপানা থেকে সময় লাগে ৫৫দিন। কচুরিপানাতে বড় বড় কুঠুরি থাকে যা পানিতে পরিপূর্ণ সামান্য আঘাতে সহজে ভেঙে যায়।
জানা যায়, অর্কিড সাদৃশ্য ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে স্কনক নামে এক ব্রাজিলিয়ন পর্যটক ১৮শ’ শতাব্দীতে বাংলায় নিয়ে আসেন কচুরিপানা। এরপর থেকেই বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিল, ঝিল হাওর-বাঁওড়-জলাশয়ে ভরে যায়।
কচুরিপানা দেখতে গাঢ় সবুজ হলেও এর ফুলগুলো সাদা পাপড়ির মধ্যে বেগুনি ছোপযুক্ত এবং মাঝখানে হলুদ ফোঁটা থাকে। সাদা এবং বেগুনি রং-এর মিশেলে এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে। সাদা পাপড়ির স্থলে কোথাও হালকা আকাশী পাপড়িও দেখতে পাওয়া যায়। পুরোপুরি ফুল ফোটার আগে একে দেখতে অনেকটা নলাকার দেখায়।
পাপড়িগুলোর মাঝখানে পুংকেশর দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিটি ফুলে ছয়টি করে পাপড়ি দেখা যায়। এলাকাভিত্তিক অনেকে একে একেক নামে চিনে থাকে। বাংলাদেশে প্রায় সাত প্রজাতির কচুরি দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় সারা বছরই কচুরি ফুল ফুটতে দেখা যায়। কচুরি ফুলের মুগ্ধতায় আমাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগ্রত হোক।

- সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমলো
- পূর্বাচলে হবে ডিপ্লোমেটিক জোন
- কলেরার টিকা খাওয়ানো শুরু, চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত
- চা উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ছাড়াল চট্টগ্রাম
- পদ্মা সেতুতে প্রথম ৮ ঘণ্টায় টোল ৮২ লাখ টাকা
- পদ্মা সেতুতে বসছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মাগুরায় শুরু হয়েছে উন্নয়নযজ্ঞ
- বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ॥ স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে ঢল
- ১৮ বছর পর শরীয়তপুর-ঢাকা বাস সার্ভিস চালু
- দুই ডোজ করোনা টিকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাংলাদেশের
- প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের
- নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- বান্দরবানে বাড়ছে দেশি কাজু বাদামের চাষ
- পদ্মাসেতুর নাট-বল্টু খোলা বায়েজিদ ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন
- ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ
- ঋণ গ্রহণে সতর্কতা প্রয়োজন
- নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান, থাকছে বাংলাদেশও
- দেশে প্রথম ইটিএফ হচ্ছে ডন গ্লোবালের সহযোগিতায়
- মা-বাবা হতে যাচ্ছেন আলিয়া-রণবীর
- প্রথা ভেঙে নিজেকেই বিয়ে করলেন সেই নারী
- মাসিকের সময় স্তন ব্যথায় করণীয়
- দীর্ঘ সময় চার্জ থাকে এমন ৭ স্মার্টফোন
- শত বছরেরও বেশি সময় পর ঋণ খেলাপি হলো রাশিয়া
- শরীরে ঝিঁঝি ধরে যে ভিটামিনের অভাবে
- ৫৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি, কাজ বিনোদন দেওয়া
- স্বপ্নের পদ্মা সেতু আস্থার প্রতীক
- পলাশবাড়ীতে কোরবানীর হাট কাঁপাতে আসছে ‘পালোয়ান’
- পলাশবাড়ীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এক ডাকাত আটক
- পলাশবাড়ীর ২৪ জন হত-দরিদ্র মানুষকে টিউবওয়েল বিতরণে এমপি স্মৃতি
- পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে টিসিবি`র পণ্য বিক্রি শুরু
- গাইবান্ধায় চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের খেজুর
- আগামী মার্চে পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন
- পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ২৯ হাজারে
- গাইবান্ধায় পটলের বাম্পার ফলনে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে
- গাইবান্ধার বাদিয়াখালীতে তাল বিক্রির হিড়িক
- পাকা ও মিষ্টি কাঁঠাল চেনার উপায়
- গোবিন্দগঞ্জ সর. উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়-দোয়া
- সাদুল্লাপুরে সবুজের মাঝে উঁকি নানা রঙের ড্রাগন
- গাইবান্ধায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল
- গাইবান্ধার মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন!
- জুতো কিনতে কিনতে ক্লান্ত, খরচ বাঁচাতে পায়ে আঁকলেন জুতোর ট্যাটু
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন না মেসি
- ঢাকা-জলপাইগুড়ি মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল শুরু আজ
- আর্জেন্টিনার কোপা জয় নিয়ে বানানো হবে ওয়েব সিরিজ
- গাইবান্ধার খাল বিলেপানিতে দেশী প্রজাতির মাছ ধরার ধুম
- বিকেলে মাঠে নামছে ব্রাজিল
- বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের চিত্রও
- একজন নারীর ছোঁয়ায় বদলে গেছে গাইবান্ধা পিটিআই
- গাইবান্ধায় ‘কাশখড়ে’ লাভবান চরাঞ্চলের মানুষ
