গাইবান্ধায় ‘কাশখড়ে’ লাভবান চরাঞ্চলের মানুষ
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২

কাশফুল একেবারেই প্রাকৃতিক। এর নেই কোনো চাষবাস, নেই কোনো যতœ-আত্তি। শরতে নদীর ধার কিংবা বিস্তীর্ণ বালুচরে বড্ড অবহেলায় ফোটে এই কাশফুল। দেশের প্রায় সব এলাকায়ই কাশফুল দেখা যায়। বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে কাশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
যখন নানা প্রতিকূলতায় প্রকৃতি থেকে এই কাশফুল হারিয়ে যেতে বসেছে, ঠিক সেই সময় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনাবেষ্টিত গাইবান্ধার চর-দ্বীপচরগুলোতে কাশখড় (শুকনো কাশফুলের গাছ) বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার মানুষ। কাশখড়ের বাণিজ্যিক ব্যবহারে আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরে পেয়েছেন অনেকে।
গাইবান্ধা সদরে ব্রহ্মপুত্র নদের কামারজানী ঘাটে দেখা হয় কাশখড়ের কারবারী কফিল উদ্দিনের সাথে। তিনি মোল্লারচর, চর কুচখালি, বুলবুলির চর সহ জেলার চর-দ্বীপচরগুলো থেকে শুকনো কাশফুলের গাছ ‘কাশখড়’ কিনে ঘাটে নিয়ে আসেন। পরে এখান থেকেই রাজশাহী, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের কাছে ‘কাশখড়’ পাঠান। ঘাটখরচ, শ্রমিকের মজুরি এবং ক্রেতার কাছে পৌছানো অব্দি পরিবহন ব্যয় ধরে দশ মোঠার প্রতিটি আঁটি ১০ থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। এ বছর উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কম। দুই বিঘা চরের জমি থেকে তিনি সাত হাজার আঁটি ‘কাশখড়’ কিনেছেন। প্রতি আঁটি পাঁচ টাকা দরে কিনে এনে বারো টাকা দরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৮৫ হাজার টাকা।
তিনি জানালেন, কাশফুল নদীর চরে এমনিতেই জন্মায়। এটি চাষ করতে হয় না। সার বা কীটনাশক কিছুই প্রয়োজন হয় না। শুধু লাগে চর থেকে কাশফুলের গাছ কেটে আনতে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ। দুই বিঘা জমিতে এই বাবদ তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। এভাবে জেলার ২৬০টি চর-দ্বীপচরের প্রায় সব কৃষকই বিনা চাষের কাশ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
কফিল উদ্দিন জানান, কাশফুল হলো চরের কৃষকরে ভাগ্যের ফসল। চর না ভাঙলে বিনা চাষে কাশ পাওয়া যায়। আগে খড়ের ঘর তৈরিতে কাশের ব্যবহার ছিল। এখন আর তেমন খড়ের ঘর নেই। তবু কাশের চাহিদা কমেনি। কারণ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পানের বরজে এখানকার কাশ ব্যবহার হচ্ছে। কাশ কেবল পানের বরজ, ঘরের চালা বা সবজিবাগানের বেড়া হিসেবেই নয়, কাশফুলের আয়ুর্বেদীয় গুণের পাশাপাশি এটি মাটিধস রোধ করে। খরচ বাদ দিয়ে চর থেকে নিয়ে আসা ১ লাখ আঁটি ‘কাশখড়’ বিক্রি করে প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় হয়েছে আমার। তিনি জানান, চরের কৃষকদের কাছে কাশ কিনে তিনি রাজশাহী, দিনাজপুর, বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পান চাষিদের কাছে বিক্রি করেন। পাঁচ টাকায় কেনা আঁটি বিক্রি হয় ১০-১২ টাকা পর্যন্ত দরে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার পান চাষীরা জানায়, কাশবনে দু’ধরনের গাছ জন্মায়। চিকন আকারের ছোট গাছগুলো খড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর বড় এবং মোটা আকারের গাছগুলোকে ঝাঁটি বলে। কাশবন থেকে পাওয়া খড় ও ঝাঁটি পান বরজের জন্য খুবই প্রয়োজন। খড় দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেয়া হয় এবং পান গাছ বাঁশের শলার সাথে বেঁধে উপরে তুলতে হয়। সুতোলি বা অন্য কিছু দিয়ে বাঁধলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। খড় দিয়ে বাঁধলে অনেকদিন থাকে। তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না। এ কারণে বরজে খড় ব্যবহার করা হয়। অপর দিকে ঝাঁটি বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঘরের ছাউনি দিতেও ব্যবহৃত হয় এ খড়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (শস্য) মো. কামরুজ্জামান বলেন, কাশফুল চাষের জন্য কোন বীজ কিংবা চারা নেই। এটি প্রাকৃতিকভাবে বর্ষাকালে নদীর বুকে চরে গজায়। প্রতি বছর বর্ষায় জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে কাশফুলের গাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। কাশ কাটা হয় মধ্য নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, কাশফুলের আবাদের চিন্তা আমরা কখনো করিনি। তবে ‘উদ্ভাবনী ফসল’ হিসেবে কাশফুল চাষের জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। এতে একদিকে চাষীরা কাশফুল চাষ করে লাভবান হবেন। অপর দিকে কোন জমি অকারণে পড়ে থাকবে না।

- ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট হবে সাত লাখ কোটি টাকা: প্রধানমন্ত্রী
- সাদুল্লাপুরে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত
- পলাশবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদ অভিযান
- পুঁজিবাজারে স্থায়ী হচ্ছে কর অবকাশ সুবিধা
- ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহুমুখী : প্রণয় ভার্মা
- অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্পে
- গাজীপুর আ. লীগ পুনর্গঠন হবে
- মুখ্য নির্বাহী থাকতে পারবেন না ইউএনওরা
- জুনেই শুরু হচ্ছে পুরান রেল সেতু উন্নীতকরণ কাজ
- জুলাইয়ে পরীক্ষামূলক শুরু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
- আমনের উৎপাদন বাড়াতে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা
- বিশ্বশান্তি রক্ষায় সেবা ও ত্যাগে শীর্ষে বাংলাদেশ
- পতেঙ্গা-আনোয়ারা সংযুক্তি তিন মাস পরেই
- অশান্তি-সংঘাত চাই না সবার উন্নতি চাই
- ‘বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত’
- রাজশাহীর আম এত সুস্বাদু কেন
- পেঁপে চাষে বছরে ১০ লাখ টাকা আয়ের আশা
- সবজি চাষে লাখপতি প্রতিবন্ধী আলাউদ্দিন
- ৪-১০ জুন শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে
- মিসরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
- নির্বাচনে জয়ী হয়ে যা বললেন এরদোয়ান
- পরকীয়া-ডিভোর্স, মিথিলার পর রহস্যময় ইঙ্গিত সৃজিতের
- স্টেডিয়ামে সবার সামনে পুলিশকে পেটালেন মহিলা
- বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক নিয়ে আলোচনা সভায় হুইপ গিনি
- গাইবান্ধায় অভিভাবক সমাবেশে- হুইপ গিনি
- সুন্দরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুড়ি পদক নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- ফুলছড়িতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজের উদ্বোধন করেন রিপন এমপি
- পলাশবাড়ির রফিকুল ওষুধি গাছের চাষ করে এখন স্বাবলম্বী
- আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ
- আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
- ফসল ফেলে ফুল চাষে ঝুঁকছেন গাইবান্ধার কৃষক
- চীনা মুরগির ফার্মে সফল গাইবান্ধার ফিরোজ
- গোবিন্দগঞ্জে কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
- শরিফুল-মিমের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন, লাইভে তুলাধুনা করলেন পরীমনি
- সাঘাটায় এক স্কুল ছাত্রী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর!
- চালু হচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- কলা চাষ করে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে জয়পুরহাট চাষিদের
- গাইবান্ধায় পটলের বাম্পার ফলনে কৃষকের চওড়া হাসি
- ১৯টি দিয়ে শুরু করে ২০০ ছাগলের মালিক জাকারিয়া
- সুন্দরগঞ্জে জোবাইদুরের বাড়িতে মরুর দেশের দুম্বা
- ২০০ কিলোমিটার বেগে তীব্রভাবে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’
- কাগজবিহীন অফিস হতে চলেছে পাবিপ্রবি
- গাইবান্ধার মেয়ে সাকিনার মাঠে অদম্য সাফল্যের ঝিলিক
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোরআন-হাদিসের করণীয় আমল
- গোবিন্দগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান
- মাথা নিচু করে দেশবাসীকে অসম্মান করতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে কদর বেড়েছে কৃষিভান্ডার খ্যাত গাইবান্ধার শসার
- এইচএসসি পড়ুয়া সজীবের মুরগির খামার, মাসিক আয় ৪০ হাজার
- তুলা চাষে ঝুঁকছেন গাইবান্ধার কৃষকরা
- বিনামূল্যে হজের প্রস্তাব পাচ্ছেন সেই বৃদ্ধ রাখাল
