কৃষকের পাশে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ
ছুটির দিনেও মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ-রেজা-ই মাহমুদ মুন্না। তিনি তার সহকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন, বিভিন্ন মাঠে,দিচ্ছেন কৃষকদের পরামর্শ। অশনি পরবর্তী তুমুল বৃষ্টিতে মাঠে মাঠে ধানের জমিতে পানি জমে গেছে। কৃষকের স্বপ্নের ফসল পাকা ধান কিভাবে কাটবেন,কি ভাবে তুলবেন। এ নিয়ে যেন ভাবনায় না পড়েন সেই লক্ষে ছুটির দিন গুলিতে ছুটি না কাটিয়ে মাঠে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন,গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ-রেজা-ই মাহমুদ মুন্নার নেতৃত্বে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগন। তিনি শুক্রবার সকাল থেকেই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা,শাখাহার,কামদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করে পাকা ধান ক্ষেতের পানি নিস্কাশনের জন্য বড় বড় মাঠের আইল কেটে খাল/বা নিচু স্থানের দিকে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করেন।
এসময় তিনি কৃষকদের বলেন, এখনও যেসব পাকা ধানের জমিতে জমে আছে, তাদের ধানের জমির পানি নিষ্কাশন করতে হবে। প্রয়োজনে বড় বড় মাঠের আইল কেটে খাল/বা নিচু স্থানের দিকে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং ধান কাটার পর মাঠে-রাস্তায় ফেলে না রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেন।
এবং ধান কাটার পর মাঠে-রাস্তায় ধান রাখলে তা যেন, বৃষ্টিতে না ভেজে,সে জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখাসহ দ্রুত ধান মাড়াই করে ঘরে তোলার পরামর্শ দেন। এছাড়াও শালমারা ইউনিয়নের হাইব্রীড ধানচাষীদের মাঝে কীটনাশক বিতরন করেন। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোশাররফ হোসেন,উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ-রেজা-ই মাহমুদ মুন্না টাইমলাইনে একটি পোষ্ট করেছেন।সেটি তুলে ধরা হল:- বৃষ্টি দিনের ইলিশ খিচুড়ি নয়, এমন কি ছুটির দিনের প্রিয় ভাত ঘুম ও নয়; আমি তৃপ্তি পাই সব পরিস্থিতিতে কৃষকের পাশে থাকতে পেরে। তিনি যে কোন পরিস্থিতে কৃষকদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দৈনিক গাইবান্ধা