ভূমিহীনদের বাসস্থান মৌলিক চাহিদা পূরণে এমপি স্মৃতি ব্যাতিক্রম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপন শুরুর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বক্তব্যে দেশের সকল গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষেই বাসস্থান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যিনি এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তিনি হলেন গাইবান্ধা-৩ সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। তিনি টিআর প্রকল্পের অর্থ দিয়ে হতদরিদ্র ভূমিহীন প্রতিবন্ধী মানুষের বাসস্থানের সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যা বাংলাদেশে নজীরবিহীন এবং এখন পর্যন্ত অন্যকোন সাংসদ এমন ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ইতিমধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় টিআর প্রকল্প দিয়ে বিভিন্ন রাস্তা, মসজিদ,মন্দির মোক্তবে শতভাগ উন্নয়ন করার পর অবশিষ্ট বরাদ্দ দিয়ে ভূমিহীনদের বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়ায় সকল শ্রেণি পেশা মানুষের নিকট প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে এমপি স্মৃতি মুঠোফোনে বলেন- “মূজিববর্ষের অঙ্গীকার ঘর হবে সবার” এই প্রতিপাদ্য বাস্তবে রুপ দিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ পূরণে সচেষ্ট। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে টিআর প্রকল্পের অর্থ দিয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২০টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি এবং পলাশবাড়ী উপজেলায় ২০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
যাতে হতদরিদ্র পরিবারের বাসস্থান মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়। অপর দিকে কৃষকের নিরপত্তায় ফাঁকা বীল এলাকায় বজ্রপাত, ঝড়বৃষ্টি ও প্রচন্ড রোদ থেকে রক্ষা পেতে কৃষক ছাউনী নির্মাণ করা হয়েছে। সাদুল্লাপুর পলাশবাড়ী উপজেলায় কোন হতদরিদ্র ভূমিহীন গৃহহীন থাকবেনা বলেও জানান তিনি।
সাদুল্লাপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন- এমপির নির্দেশনায় সাদুল্লাপুর উপজেলায় টিআর প্রকল্প হতে প্রতিটি ঘর বাবদ ১,২৮,৫০০/- টাকা খরচ করে ২০টি মেজেসহ ধার পাকা মজবুত টিনসেড ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে একটি পরিবার সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।
কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিন মিয়া বলেন- আমাদের কৃষক নেত্রী এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি সবসময় কৃষকের কথা চিন্তা করেন, জনগণের উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন। তাই কৃষকের নিরাপত্তায় কৃষক ছাউনী নির্মাণ করা হয়েছে। আবার টিআর বরাদ্দ দিয়ে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন যা অতুলনীয়।
ঘর পেয়ে নলডাঙ্গার ফুলমতি বলেন- আগে থাকার ঘর ছিল না, স্মৃতি আপা মোক ঘর দিল, আল্লা তার ভাল করুক। ষাটোর্ধ হালিমা বেওয়া বলেন- ভাংগা ঘরে চিন্তায় নিন ধরে নাই, কখন ঝড়ি বাতাস আসে, এমপি আপা ঘর দিল মুই খুব খুশি। আল্লা আপাক দেকবে।
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন- জনগণের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাসস্থান একটি অন্যতম। যেটি পূরণ করতে এমপি টিআর প্রকল্প হতে ঘর নির্মাণে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আরো জানা গেছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে হতদরিদ্র পরিবারগুলো এই ঘর পেয়েছেন। মুজিববর্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১ম ধাপে পেয়েছে ১৭৯টি ঘর, ২য়ধাপে পেয়েছে ২০০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৪০ টি ঘর পাবেন ভূমিহীন গৃহহীনরা। যা ঈদ উপহার হিসেবে ঈদের আগেই দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি এমপি স্মৃতির উদ্যোগে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে টিআর প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ২০টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরো ৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
দৈনিক গাইবান্ধা