বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৭ জানুয়ারি ২০২২

ইরি ধানের ফলন বাড়াতে সমলয় চাষাবাদের প্রস্তুতি

ইরি ধানের ফলন বাড়াতে সমলয় চাষাবাদের প্রস্তুতি

কৃষির নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। এ জেলায় নানা ধরণের ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা আবাদ করে থাকেন ইরি-বোরো ধানের। এ ধানের ফলন বাড়াতে সমলয় চাষাবাদের প্রস্তুতিতে ট্রে পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করছেন তারা।বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ মালিবাড়ী এলাকার মাঠে দেখা যায় বীজতলা তৈরির এক ভিন্ন চিত্র। এ সময় ভালো মানের চারা উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রে-তে বীজ বপন করছিলেন কৃষকরা।

জানা যায়, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় গাইবান্ধায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে বীজতলা তৈরি শুরু করছেন। তারা মেশিন দিয়ে মাটিভর্তি ট্রে-তে বপন করছে অগ্রণী-৭ হাইব্রিড জাতের ধানবীজ।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, কৃষির সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহার, ট্রে-তে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপন, চারা রোপনে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল,  ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে সমলয় চাষাবাদে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের লক্ষ্যে লক্ষীপুর এলাকা প্রাথমিকভাবে ১৫০ একর জমিতে চারা রোপনের লক্ষামাত্রা নেয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সমকালে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ