শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ৩ জানুয়ারি ২০২২

কঞ্চিপাড়ায় লালিমা বদলে দিয়েছে কৃষকের ভাগ্য

কঞ্চিপাড়ায় লালিমা বদলে দিয়েছে কৃষকের ভাগ্য

লালিমা বদলে দিয়েছে কৃষক বেলাল হোসেনের ভাগ্য। সারা বছর অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি এবার নতুন বীজ রোপণ করেছেন। ফলন ভালো দামেও ভালো। এরই মধ্যে ২ লাখ টাকার লালিমা বিক্রি হয়েছে তার। বেলাল হোসেন বলেন, লালিমার প্রকৃত পরিচয় হচ্ছে- লাল বাঁধাকপি। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়ায় বাড়ি কৃষক বেলাল হোসেনের। দুই মেয়ে আর স্ত্রীসহ ৫ জনের সংসার। নিজের জমি বলতে সামান্য। তাই অন্যের জমি নিয়ে চাষাবাদ করেন।

কৃষক বেলাল বলেন, জমিতে কাজ করি আমি, আমার স্ত্রী শিল্পী বেগম, মেয়ে সিনথি আখতার, বন্যা বেগম, ছেলে সিহাব আলী সহ সবাই। সময় হলে মেয়েরা বই খাতা নিয়ে কলেজে যায়। তারপর আবার জমির আইলে বাপের সাথে কাজ করে। সে কারণে আমার কামলা খরচটা কম হয়। একটার পর একটা সবজি চাষ করেন জমিতে। কখনো ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মরিচ , আলু, টমেটো, লাউ, সিম, ক্যাপসিক্যাম, মিষ্টি কুমড়াসহ বারো মাস সবজির চাষ করে প্রতিবছর অন্তত বাড়তি ২ লাখ টাকা ঘরে তোলেন। লাভের টাকায় তিনি বাড়িঘর করেছেন। মেয়েদের কলেজে পড়ালেখা শেখাচ্ছেন। আর নিজের পকেট খরচ, বাজার হাট করে রাজার হালে সংসার চালিয়ে হাতে রাখেন নগদ টাকা।

ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন বীজ ভান্ডারে খোঁজ করেন ভিন্ন কিছু চাষ করা যায় কিনা। মনে মনে ভাবেন জমিতে এবার ভিন্ন কিছু চাষ করতে হবে। এবার তাক লাগিয়ে দিতে চান মানুষকে। সেই সাথে নিজের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। তারপর বীজ ভান্ডার থেকে খুঁজে পেয়েছেন লাল বাঁধাকপি লালিমার। তার কাছেই শোনা গেলো এই বাঁধাকপির জন্ম নাকি জাপানে ।

ভাষারপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান জানান, কৃষক বেলাল আমাদের গ্রামের গর্ব। বেলাল বারো মাসে ১৩ ফসলের আবাদ করেন। সে শুধু সবজি চাষ করেই নিজেকে কৃষক হিসাবে পরিচিতি করতে পেরেছে। লোকজনের মুখে মুখে বেলালের নাম । এ মাসের শেষ দিকে কৃষক বেলালের কপি বিক্রির উপযোগী হয়েছে। প্রতিদিন বস্তায় ভরে কপি নিয়ে যায় ভ্যানে করে। আড়তে নিয়ে যেতেই প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা হিসাবে পাইকারি বিক্রি করেন। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই জমি থেকে তুলে লালিমা বিক্রি করে অন্তত ১২শ থেকে ২ হাজার টাকা আয় হচ্ছে তার।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ