গাইবান্ধায় অনুপ্রবেশকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বহিষ্কার
ছাত্রদল থেকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে অনুপ্রবেশকারী সেই আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। ২০ অক্টোবর রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, রাসেলের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িতের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। যা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। চলতি মাসে সংগঠনটির জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বুধবার রাতে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দলের কেন্দ্রীয়
দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ মুঠোফোনে বলেন, ‘মূলত রাসেল জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। তিনি মুজিব আদর্শের সৈনিক নন। তিনি বিভিন্ন অপরাধ থেকে বাঁচতে ছাত্রদল থেকে সেচ্ছাসেবক লীগে ঢুকে পড়েন।’
অভিযোগ রয়েছে, অনুপ্রবেশকারী আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল ২০০১ সালে বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২০০৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
২০১০ সালে স্থানীয় আজেপাড়া দাখিল মাদরাসায় কমিটি নিয়ে দ্বন্দের জেনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
দৈনিক গাইবান্ধা