শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:১০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা আজ

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা আজ

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ১২ মার্চ। করোনা পরিস্থিতির আগেই দলের কাউন্সিল আশা করেছিলেন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয়টি জেলার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও গাইবান্ধার কাউন্সিল না হওয়ায় এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের নানা অভিযোগ আছে। পুরনো নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পদ ধরে রাখার অভিযোগ প্রধান। এমন পরিস্থিতিতে দলের আজ বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের কাউন্সিলের বিষয়ে তারিখের দাবি জানানো হবে বলে নেতা-কর্মীরা জানান। আজকের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন  তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাড. সফুরা বেগম। আজ ঝিমিয়ে পড়া দলকে চাঙা করতে নতুন শক্তিশালী নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছে।

দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গত কমিটি ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতির আগ পর্যন্ত কাজ করার অনেক সময় পেয়েছিল। কিন্তু পুরনো নেতৃত্ব সেভাবে দলকে ক্রিয়াশীল রাখতে পারেনি।

পুরো জেলাতেই দলটির কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। জেলাসহ ছয়টি উপজেলাতেই দলে গ্রুপিং সমস্যা বর্তমান। এসব কারণে জেলার চারটি পৌরসভা গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ি পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটিতেই দলীয় মেয়র প্রার্থীরা পরাজিত হন।

 

বিভক্তি থাকায় কোনোখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কোনোখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কোনোখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দখলে চলে যায় পৌরসভা। জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলায় দলকে শক্তিশালী করতে নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রয়োজন। আশা করছি বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি করতে কাউন্সিলের তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এ ছাড়াও দলের গ্রুপিং বা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব বিকাশ লাভ করছে না। কাউন্সিলে ভোট বা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারিত হলে দলে প্রাণ আসবে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল বলেন, জেলার সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বিভিন্ন স্থানে দলে গ্রুপিং সমস্যা সমাধান করা যায়নি। যার বড় প্রমাণ চারটি পৌরসভা নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে পৌরসভাগুলো আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করে বিপরীতমুখী রাজনীতির লোকজনকে দলে এনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দেওয়া হয়েছে। ফলে দল যেমন দুর্বল হয়েছে তেমনি বঞ্চিতদের মধ্যে হতাশাও দেখা দিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। সেখানে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের কথা তুলে ধরবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক (রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, রংপুর বিভাগের মধ্যে আমরা জরিপ করে দেখেছি গাইবান্ধায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা বা জটিলতা আছে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দলকে শক্তিশালী করা হবে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মৌলবাদ যেন আগের মতো এখানে মাথা চাড়া না দিতে পারে সেই সাংগঠনিক শক্তিসম্পন্ন দল গঠন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছি। এখন অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আমরা সাংগঠনিক কাজ আবারও শুরু করেছি।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ