পলাশবাড়ীতে মাচা (জাংলে) পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় মাচা (জাংলে)পদ্ধতিতে লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার কৃষকেরা। একারণে মাচা(জাংলে) পদ্ধতিতে লাউ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লাউ চাষীরা ।
লাউ চাষের উপযুক্ত সময় ভাদ্র,আশ্বিন, কার্তিক মাসে বীজ বপন করতে হয়। আর গ্রীষ্মকালে লাউ চাষাবাদের জন্য মাঘ-ফাগুন বীজ বপন করতে হয়। এছাড়াও বছরের যে কোন সময় লাউ চাষাবাদ করা সম্ভব। তবে অতিরিক্ত বর্ষায় একটু ফলন কম হয়। বেশি শীতও না আবার বেশি গরমও না এমন আবহাওয়া লাউ চাষের জন্য উত্তম। বাংলাদেশের শীতকালটা লাউ চাষের জন্য বেশি উপযোগি।
তবে কৃষিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক ফসলের মত লাউও এখন বারো মাসই উৎপাদন হচ্ছে। খরচ কম, সহজ পদ্ধতি এবং গাছের গুনগত মান ভালো থাকায় বেশি ফলন পেয়ে চাষিদের কাছে এখন মাচা(জাংলে)পদ্ধতিতে লাউ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ার কারণে নানান জাতের লাউ চাষ এখন সনাতন পদ্ধতির বদলে মাচায় চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার লাউ চাষিরা। জমি থেকেই লাউ কিনতে প্রতিদিনই দুর-দূুরান্ত থেকে পাইকারী এবং খুচরা ক্রেতারা ভীড় করায় বিক্রির ঝামেলা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হাচ্ছে না লাউ চাষিদের।
সরেজমিনে উপজেলার কিশোরগাড়ী, হোসেনপুর, মনোহরপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকেরা লাউয়ের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা দুপুরে পর ম্পেরে করছেন লাউ ক্ষেতে। লাউও ধরেছে প্রতিটি ডগায় ডগায়। কেউবা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে লাউ ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন।
লাউ চাষীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের মুখের হাসিই বলে দেয় তারা লাউ চাষে অসুখি নয়। তারা জানান, ১টি লাউ গাছ থেকে প্রতিদিনই গড়ে জমির পরিমান অনুযায়ী আশানূরুপ ফলন পেয়ে থাকেন। লাউচাষীরা আরো জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের যদি একটু সহযোগিতা পেতাম, তাহলে লাউ চাষ করে আরো বেশি লাভবান হতাম। তাদের তো খুঁজেই পাওয়া যায় না।
আমরা একটু বাড়তি আয়ের আশায় একজনার দেখাদেখি মাচা পদ্ধতিতে লাউ চাষ শুরু করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে গাছগুলোর গুণগতমান ঠিক রাখায় প্রতিটি গাছের ডগায় ডগায় প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট লাউ ধরেছে।
এই পদ্ধতিতে লাউ চাষে রোগবালাই অনেক কম ও ফলন বেশি হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে প্রায় বারো মাসই লাউ চাষ করা যায় এবং ভালো ফল পাওয়া যায়।
দৈনিক গাইবান্ধা