বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৮:১৯, ১ আগস্ট ২০২১

সাদুল্লাপুরে অধিক ফসল ফলাতে কৃষকের মাঠে একদল কর্মকর্তা

সাদুল্লাপুরে অধিক ফসল ফলাতে কৃষকের মাঠে একদল কর্মকর্তা

চলতি রোপা আমন মৌসুমে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধানের চারা রোপণের কাজ। কৃষকরা যেন এই ক্ষেত থেকে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারে সেই লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছে একদল কৃষি কর্মকর্তা।

রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আরাজী জামালপুর গ্রামে দেখা যায় কৃষকরা ধানের চারা রোপণ করছে। কাদা মাটিতে চারা বুনতে ব্যস্ত ছিলেন তারা।

এ সময় কৃষকদের পরামর্শ প্রদানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন মণ্ডল, আবু নাসের বাদশা, ফরিদুল ইসলাম বেলাল, আম্বিয়া মনোয়ারা ও ছামছুন্নাহার সাথীসহ আরও অনেকে।

জানা যায়, কৃষি ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উপজেলা সাদুল্লাপুর। এখানকার জীবন জীবিকার জন্য অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভুট্টা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা আমন ধান। তাই এই এলাকার কৃষকরা যাতে করে অধিক ফলন পেতে  পারে, সেই লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। বন্যার ঝুঁকি এড়ানো, পোকামাকড় থেকে রক্ষাসহ আরও কী ভাবে চাষাবাদ করলে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে,  এজন্য কৃষকদের দোড়গোড়ায় পৌঁছে পরামর্শ দিচ্ছে এই কর্মকর্তারা।

কৃষক সিদ্দক আলী বলেন, এ বছরে দেড় একর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করবেন তিনি। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় ৪০ শতক জমিতে রোপণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে ভালো ফলন ঘরে তোলার আসা তার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, লাইন লোগোবো পদ্ধতি আমন ধানের চারা রোপণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এরপর জমিতে পার্চিং স্থাপনের জন্যও বলা হচ্ছে। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী চাষাবাদ করলে অধিক ফলন পাওয়াসহ অন্যান্য ভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৭৭২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সাদল্লাপুর উপজেলার ৬৩৫ জন কৃষকরে মাঝে উফশী- হাইব্রিড জাতের আমন ধানের বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা প্রস্তুতি হিসেবে আরও ১৯৫ জনের মাঝে নাবী জাতের বীজ প্রদান করা হয়।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ