মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২৬ জুলাই ২০২১

গাইবান্ধায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

গাইবান্ধায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

গাইবান্ধা জেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুরু হয়েছে আমন ধানের চারা রোপণের কাজ। চলতি মৌসুমে প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। রোববার (২৫ জুলাই) গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এরই মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে জেলায়।

জানা যায়, জীবন-জীবিকার জন্য গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভুট্রা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা আমন ধান। অধিক লাভ হলেও ঝুঁকিও রয়েছে। তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা বিধৌত জেলা গাইবান্ধা।

বছরের জুন-জুলাই মাসে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়। এসময় জমিগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে থাকে।সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে রোপণ করা হয় আমন ধানের চারা। তবে উঁচু এলাকার কৃষকদের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় না। আমন ধানের চারা রোপণের সময় প্রত্যেক বছরে বন্যা দেখা দিলেও এ বছরে এখনো বন্যার প্রভাব পড়েনি। সম্প্রতি উঁচু এলাকার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ কাজ শুরু করেছে। আর কিছুদিন পরই নিচু এলাকার কৃষকরাও রোপণ করবেন আমনের চারা।

কৃষক আকবর আলী বলেন, এবছর দেড় একর জমিতে আমন চাষাবাদ করা হবে। ইতিমধ্যে ৩৫ শতক উঁচু জমিতে আমন রোপণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, এর আগে নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কৃষকদের জন্য বীজতলা প্রস্তুত রয়েছে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়