ফুলছড়িতে পাকা ঘর পেলেন ৩৬০ পরিবার
‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমির মালিকানাসহ পাকা ঘর পেলেন ৩৬০ টি পরিবার।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই তিন সংস্থা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে সরকারের খাস জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছে। এরই অংশ হিসেবে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নে ৫৫টি, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে ৪৯টি, ফুলছড়ি ইউনিয়নে ৫০টি, গজারিয়া ইউনিয়নে ১৫২টি, ফজলুপুর ইউনিয়নে ৫১টিসহ বিভিন্নস্থানে ৩৬০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
রোববার (২০ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে গৃহ হস্তান্তর কর্মসূচির উদ্বোধনের পরপরই ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি. এম. সেলিম পারভেজ, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান দোলন, ফুলছড়ি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাওছার আলী, উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহমেদ ইমু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কফিল উদ্দিন সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শাহ আলম যাদু প্রমুখ।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হান দোলন বলেন, দুই শতক জায়গায় নির্মিত প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট, ঘরের সামনে একটি বারান্দা ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। প্রতিটি পরিবার পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। অত্যন্ত সচ্ছতার সাথে ভূমিহীন, গৃহহীন, বিধবা, অসহায়, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিনামূল্যে ঘরগুলো দেয়া হয়েছে।
দৈনিক গাইবান্ধা