বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২১

গাইবান্ধায় আলুর বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

গাইবান্ধায় আলুর বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

গাইবান্ধা জেলার কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সাদুল্যাপুর উপজেলা। এ উপজেলার উঁচুভূমি ধাপেরহাট, ভাতগ্রাম ইদিলপুর ও রসুলপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটেছে। আলুর দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। 

এ সব এলাকায় কৃষকরা দেশি জাতের আলু ছাড়াও হাইব্রিড জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্ট্রিট এবং গ্র্যানোলা জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করেছে। সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. ফজলে এলাহী জানান, চলতি মৌসুমে ১৪শ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ধাপেরহাটের হিংগার পাড়া গ্রামের আলু চাষী লেবু মিয়া জানান, প্রতি একরে আলু চাষাবাদে খরচ হয় ৫৫ হাজার টাকা। যার উৎপাদন হয়েছে ২৫০ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আলু (প্রকার ভেদে) ৮০০ থেকে ৮৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

ময়াগাড়ী গ্রামের আলু চাষী আল-আমিন মিয়া জানান, ধাপেরহাট আরভি হিমাগারের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ করতে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা খরচ হয়। দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকরা বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ পড়বে প্রতিবস্তা মাত্র ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। ৬/৭ মাস পর ওই আলু বের করলে প্রতিমণ আলু ৬/৭শ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব।

অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষ অত্যন্ত লাভজনক বলে জানান রসুলপুরের বড় দাউদপুর গ্রামের আলু চাষী মোকছেদ আলী। হিমাগার ছাড়াই বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু তুলনামূলক ভাবে ঠাণ্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন শুষ্কস্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উচুঁ করে ঘর তৈরি করতে হবে। আলুর শ্বাস-প্রশ্বাসের তাপ বের হওয়া এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে আলু রাখতে হবে। এভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ৬ থেকে ৭ মাস আলু সংরক্ষণ করা যায়।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ