শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

যেভাবে শিশুর টিভি দেখার নেশা কাটাবেন

যেভাবে শিশুর টিভি দেখার নেশা কাটাবেন

ঘুম থেকে উঠেই টিভিতে কার্টুন দেখার জন্য বায়না শুরু করে দেয় বাচ্চারা। না দিলেই চিৎকার, কান্নাকাটি। সেই একই সমস্যা খাওয়ার সময়ও। এমনিতে খাওয়া নিয়ে বাচ্চারা টালবাহানা। কিন্তু টিভিতে কার্টুন চালিয়ে খেতে বসালেই দিব্যি খেয়ে নেয়। টিভির নেশা কিছুতেই কমে না। 

এরকম ছবি প্রায় ঘরে ঘরেই দেখা যায়। কীভাবে টেলিভিশনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সন্তানকে দূরে রাখবেন, সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো-

>>> অনেকেই মনে করেন এটা ছোটখাট সমস্যা, বড় হলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাবা-মা হিসেবে শিশুর ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব আপনার। তাই নিয়ন্ত্রণ আপনাকেই করতে হবে। শিশু কতক্ষণ টিভি দেখবে, টিভিতে কোন অনুষ্ঠান দেখবে, আপনার সন্তানের ওপর তার কী প্রভাব পড়বে, এগুলো ভাবতে হবে আপনাকেই। ছোট থেকে যদি শিশুকে নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে শিশু যত বড় হবে ততই এই নেশা বেড়ে যাবে।

>>> শিশুকে টিভি দেখতে একেবারে বারণ করবেন না। এতে ওর জিদ আরও বাড়বে। টিভি দেখা নিয়ে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করুন। শিশুর টিভি দেখার সময় কখন কখন এবং কতটা তা তাকে বুঝিয়ে বলুন।

>>> রাত জেগে টিভি দেখতে দেবেন না। হোমওয়ার্ক না করে টিভি দেখতে দেবেন না। ছুটির দিনগুলো ছাড়া এই নিয়মের যেন ব্যতিক্রম না হয় তা খেয়াল রাখুন।

>>> শিশুর ঘরে টেলিভিশন রাখবেন না। এমনকি আপনাদের শোওয়ার ঘরেও রাখবেন না। ড্রয়িং রুমে টিভি রাখুন।

>>> শিশুর সঙ্গে বসে মাঝে মাঝে ওর পছন্দের অনুষ্ঠান দেখুন। শিশুকে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান দেখতে উৎসাহ দিন। এসব অনুষ্ঠান একসঙ্গে বসে দেখে, তা নিয়ে শিশুর সঙ্গে আলোচনা করুন।

>>> টেলিভিশনে এমন অনুষ্ঠান শিশুকে দেখতে উদ্বুদ্ধ করুন যেগুলো ওকে একটু ভাবতে, চিন্তা করতে, নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করবে।

>>> শিশু যেন টিভি মানেই শুধু কার্টুন না ভাবে। টেলিভিশনের মাধ্যমে ওরা বাইরের জগতের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারে। ট্রাভেলিং, অ্যানিমেল ওয়ার্ল্ডের মতো অনেক চ্যানেল আছে যেগুলো মনের পরিধিটাকে আর একটু বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, শিশুকে সেগুলো দেখান।

>>> অনেক সময় বাবা-মায়েরাই ব্যস্ততার কারণে শিশুদের টিভি দেখতে উৎসাহ দেন। এতে শিশুর দেখার নেশা বাড়ে। তাই এইরকম পরিস্থিতিতে টেলিভিশন না দেখতে দিয়ে সন্তানকে অন্যান্য সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করুন।

>>> শিশুকে ভালো ভালো বই কিনে দিন, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, ফুটবল, ছবি আঁকা, নাচ, গান—যা ওর পছন্দ তাতে উৎসাহ দিন। এতে ওর টিভির আসক্তি কমবে।

>>> শিশু বাবা-মাকে দেখেই শেখে। তাই ওর সামনে আপনারাও অনবরত টিভি নিয়ে পড়ে থাকবেন না।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনসুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কিবৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলাসবাই ঈদের নামাজে গেলে শাহনাজের ঘরে ঢুকে প্রেমিক রাজু, অতঃপর...