দানবের মতো ঢুকলো পানি, ১৫ মিনিটে ধ্বংসস্তূপ পুরো শহর
খরস্রোতা নদীর পানি হুট করেই ঢুকলো ছোট শহরগুলোতে। বাসিন্দারা কিছু বোঝার আগেই নিমিষে ভেসে গেল রাস্তা ও ঘরবাড়ি। চারদিকে পানি আর পানি। মাঝে মাঝে বাড়ির মাথাগুলো উঁকি দিচ্ছে। দেখে মনে হয় জনবসতির ওপর দিয়ে নদী বয়ে গেছে। কোথাও একতলা, আবার কোথাও দোতলা সমান পানি। ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ১৫ মিনিটের মধ্যে পানিতে ভাসলো এত দিনের সাজিয়ে তোলা শহর!
জার্মানির রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেট প্রদেশের অবস্থা এখন সবচেয়ে খারাপ। শনিবার প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এমন ভয়ানক বন্য কেউ কোনোদিন দেখেছে বলে মনে করতে পারছে না। পুরো শহর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তলিয়ে যায়। ভেসে যায় বাড়ি, গাড়ি, অফিসসহ সবকিছু।
পেশায় স্থপতি আর্গন বেরিশা বলেন, জলের তোড়ের দাপট এখনও সর্বত্র স্পষ্ট। কোথাও গাড়ি উল্টে পড়ে আছে, কোথাও আবার উল্টে আছে গাছ। প্রদেশের কোনো কোনো জেলা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশ থেকে।
আবহাওয়াবিদরা এসব এলাকায় আরো ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছেন। সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জার্মানির আবহাওয়া দফতরের মুখপাত্র অ্যান্ড্রিয়াস ফ্রেডরিক জানান, বেশ কিছু জায়গায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা গত ১০০ বছরেও হয়নি।
কোলন শহরের পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বন্যাপীড়িত এলাকায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুজন কর্মী নিহত হয়েছেন। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে গত কয়েক দশকে এমন বন্যা আর দেখা যায়নি।
এমন ঘটনার পর জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেনমেইরার জানিয়েছেন, তিনি হতবাক। পাশাপাশি, মৃত ও সর্বস্ব খোয়ানো মানুষদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন।
দৈনিক গাইবান্ধা