যদি একটু বেশিই খাওয়া হয়ে যায়...
পর্যাপ্ত ক্যালরি খরচ করুন
কোরবানির ঈদের কাজগুলোকে অনেকে কষ্টকর মনে করলেও আসলে এতে তেমন ক্যালরি খরচ হয় না। ঈদের কদিন খেয়েদেয়ে জম্পেশ ঘুম দেন অনেকেই। কাজের চাপও নেই, শরীরচর্চার অভ্যাসও থাকে না। কিন্তু প্রত্যেকেরই উচিত, ঈদের সময়টায় প্রতিদিনই খানিকটা সময় শরীরচর্চা করা। একেবারে পার্কে গিয়ে দৌড়াতে হবে, বিষয়টা তা নয়। বাড়িতেই ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম কিংবা কিছুটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
বিশেষ ক্ষেত্রে
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা আবশ্যক। কোরবানির মাংস একেবারে নিষেধ নয়, তবে চর্বিযুক্ত অংশ এড়িয়ে চলাই উচিত। চর্বিহীন মাংস খাওয়া যেতে পারে, তবে সেটিও অতিরিক্ত পরিমাণে নয়। ভাত বা রুটিজাতীয় খাবারও খুব বেশি খাওয়া যাবে না। ডায়াবেটিস রোগীদের আলুও এড়িয়ে চলতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন এমন ব্যক্তির জন্য পশুর মাংস কম খাওয়াই সমীচীন। বিশেষ করে তাঁদের পর্যাপ্ত পানি এবং প্রচুর সালাদ খেতে হবে।
ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিন
ছড়িয়ে দিন ভালোবাসা, বাড়িয়ে দিন সম্প্রীতির হাত। যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণ খাবার পৌঁছে দিন বঞ্চিত মানুষের কাছে। পথের প্রাণীদেরও কিছু খাবার বা খাবারের উচ্ছিষ্ট দিন। মনে তৃপ্তি আসবে। আর শুধু ঈদ বা উৎসবেই নয়, বছরজুড়েই বজায় রাখুন এমন সু-অভ্যাস।
দৈনিক গাইবান্ধা