মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:২১, ২৬ জুলাই ২০২১

গরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়

গরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়

কোরবানির ঈদ মানেই গরুর মাংসের নানান পদ। মুখরোচক হওয়ায় খাওয়াও হয় পরিমাণে বেশি। তবে পরিমাণে বেশি গরুর মাংস খাওয়ায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়ও ভুগতে হয়। তাই অবশ্যই ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। ঠিক যতটুকু খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন ঠিক ততটুকুই খাওয়ার চেষ্টা করুন।

তবে কোনোভাবে যদি অতিরিক্ত গরুর মাংস খেয়ে বদহজম, পেটে ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগেন, তাহলে জেনে নিন আপনার করণীয়-

>> কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।

>> মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না।

>> বদহজমের জন্য কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলেও উপকার পাবেন।

>> বদহজমের জন্য ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

>> পেট ফাঁপার সঙ্গে পেটে ব্যথা হলে, কুসুম গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্যথা কমে যাবে।

>> মাংস খেয়ে বদহজম হলে, ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ দারচিনি গুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে অর্ধেক হলে নামিয়ে রাখুন। এরপর এ পানিতে কিছু মধু মিশিয়ে গরম গরম দিনে দুবার পান করুন।

>> ২ কাপ পানিতে এক টুকরা আদা কুচিয়ে জ্বাল দিয়ে ১ কাপ পরিমাণ করে এতে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের জন্য এটি ভালো কাজ করে।

>> কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, রাতে ঘুমানর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। মনে রাখবেন, ইসবগুল পানিতে ভিজিয়ে রাখলে উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

>> কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। উপকার পাবেন।

সতর্কতা

>> মাংস ভালোভাবে রান্না করা উচিত। রান্না করা মাংস বারবার জ্বাল দিয়ে বেশিদিন ধরে খাওয়া ঠিক নয়।

>> ২৫ এর বেশি বয়সী যাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খোয়া উত্তম।

>> রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে তার মাংস খেলে মাংসে থাকা জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে। যা নানা ধরনের রোগের সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

>> মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা, মাথা ধরা, খিঁচুনিত, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে।

>> বেশি তাপে মাংস রান্না করলে মাংসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবন নষ্ট হয়ে যায়। তাই ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে রান্না করা উচিত।

>> যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যারা অতিরিক্ত গরুর মাংস খান, তাদের ক্যান্সার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়