সোমবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ || ২৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৩০ মে ২০২৩

আপডেট: ১৭:৫২, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নওগাঁয় করলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে!

নওগাঁয় করলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে!

করলা চাষে স্বাবলম্বী নওগাঁর চাষিরা। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া এই সবজি চাষের উপযোগি হওয়ায় চাষিরা ব্যাপক ফলন পেয়ে থাকেন। গত কয়েকবছরে এই অঞ্চলে করলার চাষ অধিক বিস্তার লাভ করেছে। কম খরচে চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে চাষিরা নিজেদের উৎসাহি হয়ে নিজেদের আম বাগানের ফাঁকে ফাঁকে সাথি হিসেবে করলার চাষ করছেন।

জানা যায়, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চাষিরা ব্যাপক হারে করলার চাষ করছেন। এই উপজেলায় করলা চাষিদের সেন্টার হিসেবে বাহাপুর মোড়ে একটি অস্থায়ী বাজার গড়ে উঠে। প্রতিদিন সকালে চাষিরা তাদের জমির উৎপাদিত করলা নিয়ে বাজারে আসেন। প্রায় ৪ ঘন্টা চলে এই বাজার। বর্তমানে এই বাজারে প্রতিমণ করলা ৯০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এখান থেকে করলা কিনে নিয়ে যান।

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সাপাহার উপজেলায় ১৬০-২০০ বিঘা জমিতে করলার চাষাবাদ হয়েছে। এবছর কৃষকরা করলার ব্যাপক ফলন পেয়েছেন।

ঢাকার কাওরান বাজার থেকে আসা পাইকার উজ্জল বলেন, এখানকার উৎপাদিত করলার গুণগত মান ভাল। এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বেশি নষ্ট হয় না। আমি গত কয়েকবছর যাবত এখান থেকে করলা কিনে ঢাকায় সরবরাহ করছি। এতে আমি বেশ লাভবান হতে পারছি।

বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের মতে, এই বাজার প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন বলেন, এই উপজেলার কৃষকরা দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলার চাষাবাদ করছেন। কৃষকরা ভাল ফলন ও বাজারদর পাচ্ছেন। আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়