দৈনিক গাইবান্ধা
  • বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৯ ১৪৩০

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষে দুই তরুণের সাফল্য!

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩  

প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম ও চেরি টমেটো চাষে চট্টগ্রাম রাউজানের দুই তুরুণের সাফল্য। তারা বিদেশি এই সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন। বলছি তরুণ উদ্যোক্তা আরফান ও সাব্বিরের কথা। তারা নিজ উদ্যোগে লাল ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম ও পাশে চেরি টমেটোর চাষ করছেন। জমিতে ভাল ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু করেছেন।

জানা যায়, দুই তরুণ আরফান ও সাব্বির রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম, ২৫ শতক জমিতে চেরি টমেটোর চাষ করছেন। বর্তমানে তাদের জমিতে আড়াই হাজারেরও বেশি ক্যাপসিকাম গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছেই থোকা থোকায় ঝুলছে লাল ও সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম। আর তার পাশের জমিতেই চেরি টমেটোর গাছ রয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রিয়ের উপযোগি হয়েছে। তারা লাভের আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, তারা মাত্র তিন মাসের মধ্যে ক্যাপসিকাম ও চেরি টমেটোর ফলন পেয়েছেন। তাদের প্রতিটি গাছে গড়ে এক কেজি করে ক্যাপসিকাম উৎপাদন হবে। এতে তাদের লাগানো আড়াই হাজার গাছে ক্যাপসিকামের ভাল ফলন হলে প্রায় আড়াই টন উৎপাদন হবে। তাদের প্রায় ৯-১০ লাখ টাকা আয় হবে।

তরুণ উদ্যোক্তা আরফান ও সাব্বির বলেন, আমরা গত জানুয়ারি মাসে জমিতে ক্যাপসিকাম ও চেরি টমেটোর চারা রোপন করি। চারা রোপনের মাত্র তিন মাসের মধ্যে ফলন পেয়েছি। এখন ফসল বিক্রয়যোগ্য হয়েছে। আর ইতিমধ্যে বিক্রিও শুরু করেছি। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, রাউজান এলাকায় দুই তরুণ উদ্যোক্তাকে বিদেশি এই সবজির চাষে আমরা সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছি। তাদের আগে কেউ এই এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কেউ ক্যাপসিকাম ও চেরি টমেটোর চাষ করেনি। তারা প্রথমবারের মতো চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

দৈনিক গাইবান্ধা
দৈনিক গাইবান্ধা