দৈনিক গাইবান্ধা
  • বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৯ ১৪৩০

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

করলা চাষে লাভবান সুবর্ণচরের চাষিরা

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৩  

নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলায় করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। অসময়ে ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন। স্বল্প পুঁজি ও অল্প সময়ে অধিক ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলার কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর সুবর্ণচর উপজেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। দিন দিন এর চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কম সময়ে বেশি উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হতে পেরে খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাণিজ্যিকভাবে করলার চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকরা অসময়ে ও মৌসুমে করলার চাষ করে থাকেন। বছরের অক্টোবর মাসে বীজ রোপন করে পরবর্তী ৬০ দিন পর করলা বাজারজাত করা যায়। আর পরের বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। অল্প সময়ে বেশি উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা করলা চাষে ঝুঁকছেন।

চরজব্বর ইউনিয়নের চর হাসান গ্রামের করলা চাষি মো. জয়নাল আবেদিন সবুজ বলেন, আমি গত বছর ৪০ শতাংশ জমিতে করলার চাষ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো পুঁজি করতে পারি। চলতি বছর ৩০০ শতাংশ জমিতে করলার চাষ করেছি। আশা করছি এবছর করলা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক টাকা পুঁজি করতে পারবো।

আরেক কৃষক মতিন বলেন, এবছর আমি দেড় একর জমিতে করলার চাষ করেছি। চাষে আমার তিন থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ লক্ষ টাকার করলা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ৫ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো।

অন্যান্য আরো কৃষকরা বলেন, দাম বেশি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা নেই। তবে অন্য জেলা উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, এই উপজেলার কৃষকরা দিন দিন করলা চাষে ঝুঁকছেন। কৃষকরা আরো বেশি পরিমানে জমিতে করলার চাষ করবেন। এখানকার করলা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। ফলে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। করলা চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি।

দৈনিক গাইবান্ধা
দৈনিক গাইবান্ধা