দৈনিক গাইবান্ধা
  • বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৯ ১৪৩০

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

এই ফুলের তেল বিক্রি হয় প্রতি লিটার ৫ লাখ টাকায়

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

ওড়িশার গঞ্জাম জেলার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী লোকেরা গত কয়েক বছর ধরে সুগন্ধি কেওড়া চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। এই তেল দিয়ে অনেক ধরনের ভোজ্য ও কসমেটিক জিনিস তৈরি করা হয়। এই ফসলটি ভৌগলিক ইঙ্গিত (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ১৯৯৯ এর অধীনে ভারত সরকার দ্বারা নিবন্ধিত হয়েছে । 

বিশেষ বিষয় হল ওড়িশায় প্রায় ৫,০০০ হেক্টর জমিতে এর চাষ হয়। গঞ্জাম, ছত্রপুর, চিকিটি ও রঙ্গীলুন্ডায় কেভদার ফুল থেকে তেল তৈরি করা হয়।চিকিটির কেওড়া ফুলের তেল উৎপাদনকারী নরেন্দ্র সাহু বলেন, জেলার ২২০টি গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ২০০,০০০ মানুষের জন্য, এটি আয়ের প্রধান উৎস। ছতরপুরের কেওড়া ফুলের সংগ্রাহক দণ্ডপানি সাহু বলেছেন, কৃষক এবং সংগ্রাহকরা গঞ্জামের তেল প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে অগ্রিম পান, যারা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে তাদের কাছ থেকে ফুল কেনেন। 

আমাদের বাপ-দাদাদের সময় থেকেই কেওড়া ফুলের চাষ জীবিকা নির্বাহের উৎস।গত বছর প্রতি লিটার কেওড়া তেলের দাম ছিল সাড়ে চার লাখ টাকা। শ্রী সিদ্ধ ভবানী কেভদা কিষাণ সংঘের সেক্রেটারি সুদর্শন পাত্র রাঙ্গিলুন্ডা ব্লকের মহাসাহীপেন্থা গ্রামে বলেছেন যে কেভদা তেলের ক্রমবর্ধমান দাম কৃষক এবং তেল নির্মাতাদের মুখে হাসি এনেছে। রাওয়ের মতে, আগে পর্যাপ্ত বিপণন সুবিধার অভাবে কৃষকরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে ফুল বিক্রি করতে বাধ্য হতো। তিনি বলেন, আমরা মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা দূর করতে এবং সঠিক বাজারজাতকরণ সুবিধা দিতে ফুল চাষিদের দল গঠন করেছি এবং একটি ফুলের দাম ১০-১২  টাকা নির্ধারণ করেছি। ফলে কেওড়া তেল উৎপাদনকারীরা এখন সরাসরি উৎপাদক গ্রুপ থেকে ফুল কিনছেন।

এই কর্মকর্তা বলেন, এফএফডিসি তেল প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে এবং সরকার-পরিচালিত জেলা শিল্প কেন্দ্রের মাধ্যমে ডিস্টিলিং ইউনিট শুরু করার জন্য আধুনিক সরঞ্জাম কিনতে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে জেলায় প্রায় ১৬০টি ডিস্টিলিং ইউনিট রয়েছে। ডিস্টিলিং ইউনিট স্থাপনের জন্য জেলা শিল্প কেন্দ্র স্থানীয় জনগণকে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করে। রাওয়ের মতে, একজন তেল উৎপাদনকারীর এক লিটার কেওড়া তেল তুলতে ৩০,০০০ ফুলের প্রয়োজন হয়।

দৈনিক গাইবান্ধা
দৈনিক গাইবান্ধা