শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চুইঝালে স্বপ্ন দেখছেন যশোরের তরুণরা

চুইঝালে স্বপ্ন দেখছেন যশোরের তরুণরা

চুইঝাল চাষ করেই স্বপ্ন দেখছেন যশোরের তরুণরা। চলতি মৌসুমে চুইঝাল চাষে স্বপ্ন বুনে চলেছেন যশোরের সাত গ্রামের প্রায় ৭০০ তরুণ। সমবায়ের ভিত্তিতে তাঁরা এক হয়েছেন নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে। মসলাজাতীয় লতা চুইঝালের কাণ্ড বা লতা মাছ ও মাংসের তরকারিতে আনে বিশেষ স্বাদ, যা বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জায়গায় খুব জনপ্রিয়। তাই তরুণরা এই চুইঝাল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চুইঝাল মসলাজাতীয় উদ্ভিদ। চুইঝাল গাছ দেখতে পানের লতার মতো। পাতা কিছুটা লম্বা ও পুরু। এর কাণ্ড বা লতা কেটে ছোট টুকরা করে মাছ-মাংস, ছোলা বা ডাল রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রান্নার পর এর টুকরা চুষে বা চিবিয়েও খাওয়া যায়। মাংস রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার বেশি। এটি মাংসের তরকারিতে আনে বিশেষ স্বাদ। নামে ‘চুইঝাল’ হলেও এটি খেতে খুব বেশি ঝাল নয়। চুইঝালের কিছু ঔষধি গুণের কথাও বলা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের বাড়িতেই কম-বেশি চুইঝালের চাষ করা হয়েছে। সবই মূলত তাঁদের প্রজেক্টের অংশ। পাশের লাউড়ি, সুন্দলপুর ও জামলা গ্রামের গাছগুলোতেও রয়েছে অংশীদারির ভিত্তিতে তাঁদের লাগানো চারা। এগুলোর পরিচর্যা ও পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন প্রজেক্টের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট গ্রামের তরুণ-যুবকরা।

প্রজেক্টের উদ্যোক্তা মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা ৭টি গ্রাম নিয়ে এই প্রজেক্ট গড়ে তুলেছি। এরই মধ্যে ১০ হাজার গাছের গোড়ায় চুইঝালের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, সবুজের খানপুর চুই প্রজেক্ট ছাড়া দেশে অন্য কোথাও চুইঝাল সমবায় ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। এমন চুই চাষ দেখে অন্য এলাকার তরুণরা আগ্রহী হবেন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ