বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।
মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।
ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।
মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।
মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

- রোববার রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- গাইবান্ধায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- জানুয়ারিতে ৫১৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
- ঐতিহাসিক মুজিবনগরে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, সংসদে বিল পাস
- রমজানের পণ্যের জন্য পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে
- সময়সূচিতে আসছে পরিবর্তন সুবর্ণ, সোনার বাংলা ও তূর্ণার
- পিন ছাড়াই কার্ডে লেনদেন ৫ হাজার টাকা
- ২৫ মিনিটেই বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর
- বছরের প্রথম মাসেই ১৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ
- আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ
- মার্চে কাতার যাবেন প্রধানমন্ত্রী, সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের সম্ভাবনা
- দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না- প্রধানমন্ত্রী
- ফোনের ইন্টারনেট খরচ বাঁচাবেন যেভাবে
- আলু দিয়ে কবুতরের মাংস ভুনা
- শুটিংয়ের সময় আহত সানি লিওন
- সিলেট, বরিশাল আর কুমিল্লার সঙ্গে সেরা চারে নাম লিখাবে কারা?
- রাশিয়ায় সমকামিতা নিষিদ্ধ করে আইন পাস
- ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষ, সাগর আলী এখন সফল উদ্যোক্তা
- বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষে মোসলেমের সাফল্য!
- গোবিন্দগঞ্জে রিক্সা চালকদের মাঝে মেয়রের কম্বল বিতরণ
- পলাশবাড়ীতে প্রতিবন্ধী সেবা সংস্থার ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
- গাইবান্ধায় ৫০ বোতল মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে খেলার সামগ্রী বিতরণ
- গোবিন্দগঞ্জ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত নবীন ছাত্রীদের বরণে এমপি
- ফুলছড়িতে মায়ের অভিযোগের পর সেই মাদকাসক্ত ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ
- পলাশবাড়ীতে স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে প্রচীন মসজিদ
- গাইবান্ধায় কৃষকের ছোঁয়ায় ও সঠিক পরিচর্যায় দেশি মরিচের বাম্পার ফলন
- পাতাল মেট্রো রেল : বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যাওয়া যাবে ২৪ মিনিটে
- জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৮৯%
- বাংলাদেশের পথরেখায় বিশ্বের দৃষ্টি
- গাইবান্ধার নামকরণ, ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ নানা দর্শনীয় স্থান
- ফেরিওয়ালা থেকে বড় ব্যবসায়ী
- জেলের বড়শিতে ৩৫ কেজির দুই কোরাল
- গাইবান্ধায় মিতুর কারখানায় কাজ করে ৬০০ নারী স্বাবলম্বী
- চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনের অপেক্ষা
- ৫ লাখ টাকা খরচে ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি!
- শীতে ওয়াটার হিটার ব্যবহার করছেন? সতর্ক থাকবেন যেভাবে
- গ্রামটির প্রতি ঘরেই চলে রঙিন সুতার খেলা
- মিরসরাইয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এলাচ চাষ
- হাইব্রিড বেগুন চাষে সফল জুলফিকার, বিঘাপ্রতি ফলন ২০ মণ!
- পলাশবাড়ীতে গ্রামীণ ঐতিহ্যের ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ডালিম চাষে হারুনের লাখ টাকা আয়ের আশা!
- গাইবান্ধায় দেশি মরিচের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা
- সূর্যমুখী চাষে হাসি ফুটেছে কৃষক আশরাফের মুখে!
- ফুলকপি চাষে সফল মানিকগঞ্জের বাবুল
- কেঁচো চাষে বদলে গেছে মানিকের জীবন
- পলাশবাড়ীতে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়
- বালুচরে সয়াবিন চাষে সাফল্য
- মান-অভিমান ভুলে রাজের ঘরে পরী!
