রেলওয়ের পতিত জমিতে আনারস চাষে সফল লালমনিরহাটের আব্দুল কাদের!

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের চাষি আব্দুল কাদের রেল লাইনের পতিত জমিতে আনারস চাষ কররে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ভারতের শিলিগুড়ির আনারকলি জাতের আনারস চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। তাকে দেখে অনেকেই আনারস চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, লালমনিরহাট বুড়িমারী রেল লাইনের পতিত ঢালু জমিতে ২০০৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ শুরু করেন তিনি। আনারকলি জাতের এ আনারস ভারতের শিলিগুড়িতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজি ওজনের হলেও আব্দুল কাদেরের বাগানে ফলেছে আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজন পর্যন্ত। তবে ওজন যাই হোক স্বাদে কমতি নেই। সুস্বাদু আনারকলি জাতের এ আনারসের চাহিদা প্রচুর থাকায় বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। ক্ষেত থেকে নগদ ও পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা প্রতি পিস। এ বছর তিনি প্রায় ৫ হাজার পিস প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার অধিক বিক্রি করেছেন।
আব্দুল কাদের বলেন, আনারস এমন একটা ফসল যার চারা একবার লাগালেই চলে। প্রয়োজন শুধু পরিচর্যা করা। তাছাড়া উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। এজন্য রেল লাইনের পতিত জমিতে চাষাবাদ করেছি। আনারস চাষ রেল লাইনের কোনো ক্ষতি করে না। বরংচ মাটির ক্ষয়রোধ করে। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত পুরো রেললাইনে আনারসের বাগান করতে চাই। তাতে একদিকে দেশের আনারসের চাহিদা মিটবে পাশাপাশি রেল লাইনের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে রেল লাইনের পতিত জমির আনারস বাগান।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বীরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আব্দুল কাদের একজন সফল কৃষক। তার অনেক বাগান রয়েছে। নিজ উদ্যোগে আনারস বাগান করলেও মাঝে মধ্যে কৃষিবিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়। আনারসে রোগ বালাই কম এবং উৎপাদন খরচও অনেক কম। কম খরচে অধিক লাভবান হতে ঢালু জমিতে আনারস চাষের বিকল্প নেই।
দৈনিক গাইবান্ধা