ড্যান্সিং প্লেগ, নাচতে নাচতেই মারা গেলেন অগণিত মানুষ
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২

বিশ্ব গত দুই বছর ধরে করোনার দাপট দেখছে। বিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একটি ভাইরাস যে মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত করে দিতে পারে তা ছিল কল্পনাতীত। ১৫১৮ সালে এমনই এক বিচিত্র ‘সংক্রামক’ রোগের মুখোমুখি হয় মানুষ। অদ্ভুত সেই রোগের নাম ‘ডান্সিং প্লেগ’। মূলত নারীদের মধ্যেই এই রোগ দেখা গিয়েছিল। রোম সাম্রাজ্যের আলসেসের (বর্তমানে ফ্রান্স) স্ট্রাসবুর্গ শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল এই অসুখ।
ডান্সিং প্লেগ
এই রোগের লক্ষণ হলো, এক বার কেউ নাচ শুরু করলে দিনভর নাচতে থাকে। তার পর অন্যদের মধ্যে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়ে এই নাচের ইচ্ছে। শহরে প্রায় ৫০ থেকে ৪০০ নারী রাস্তায় দিনভর নাচতে থাকেন। নাচতে নাচতে একাধিক নারী মারা গিয়েছেন, এমন দাবিও করেন কিছু ইতিহাসবিদ। তবে এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।
শহরে প্রায় ৫০ থেকে ৪০০ নারী রাস্তায় দিনভর নাচতে থাকেন
তবে এমন রোগ যে স্ট্রাসবুর্গ শহরে ছড়িয়ে পড়েছিল তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই সময়ের চিকিৎসকদের নথি, স্থানীয় সংবাদপত্র ও শহর প্রশাসনের নথি থেকে এর স্বপক্ষে প্রমাণ মেলে। সেই সব তথ্য থেকে জানা যায় ১৫১৮ সালে মূলত নারীদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায়, ১৫১৮ সালের জুলাই মাসে এক নারী হঠাৎ নাচতে শুরু করেন। তার পর একে একে অন্য নারীরা তার সঙ্গে যোগ দিয়ে নাচতে থাকেন।
ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায়, ১৫১৮ সালের জুলাই মাসে এক নারী হঠাৎ নাচতে শুরু করেন
যিনি প্রথম নাচতে শুরু করেন তার নাম ফ্রাউ ট্রফিয়া। তবে এই নাম নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তার সঙ্গে যারা নাচতে শুরু করেন তাদের সংখ্যা নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। তবে এমনটা নতুন নয়। ১১ শতকের মধ্যযুগে এমন রোগ নজরে আসে কোলবিগ স্যাক্সনিতে। তবে তখন তাকে ‘শয়তানের’ প্রভাব বা ‘ঈশ্বরের শাস্তি’ বলে মনে করা হয়েছিল।
প্রতিকার হিসেবে এক ধরনের মৃদু সঙ্গীত বাজানো হয়েছিল বলে ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায়।
১৫ শতকে এক নারীকে ট্যারান্টুলা কামড়ে দেয়। তার বিষে খিঁচুনি দেখা দেয় নারীর মধ্যে। যা কিছুটা নাচের মতোই ছিল। প্রতিকার হিসেবে এক ধরনের মৃদু সঙ্গীত বাজানো হয়েছিল বলে ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায়। এই গণনাচের কারণ হিসেবে দু’টি ব্যাখ্যা ওঠে আসে। প্রথমটি হলো, ছত্রাকের বিষক্রিয়া। এই ছাত্রকের গুঁড়া পাউরুটির মধ্যে সে সময় ব্যবহার করা হত।
এই গণনাচের কারণ হিসেবে দু’টি ব্যাখ্যা ওঠে আসে। প্রথমটি হলো, ছত্রাকের বিষক্রিয়া। এই ছাত্রকের গুঁড়া পাউরুটির মধ্যে সে সময় ব্যবহার করা হত
মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ লেখক জন ওয়ালার যুক্তি, এই তত্ত্বটি ঠিক নয়। কারণ কোনো ছত্রাকের বিষক্রিয়ার প্রভাবে একসঙ্গে এত মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে নাচতে পারেন না। অন্য ব্যাখ্যা হলো, এটি হলো গণ হিস্টিরিয়া। এ ক্ষেত্রে এক জনের উদ্ভট আচরণ দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ মানসিক চাপের কারণে এমনটা হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের একাংশের। মনে করা হয় আলসেসের বাসিন্দারা সেই সময় দীর্ঘ মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।
এই গণ হিস্টিরিয়ার নজির রয়েছে গণেশের দুধ খাওয়ানোর ঘটনাতেও। সেই সময় ভারতের মানুষ বাটি বাটি দুধ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মন্দিরে। যুক্তি, পাল্টা যুক্তি... ডান্সিং প্লেগ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। বিতর্ক রয়েছে রোগের কারণ নিয়েও। ৭০০ বছর পরেও অদ্ভুত এই রোগ নিয়ে, এবং এই রোগের নিরাময় নিয়ে রয়ে গিয়েছে নানা প্রশ্ন।
সূত্র: আনন্দবাজার

- একনেকে ২২১৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন
- গোবিন্দগঞ্জে নকল প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা
- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে মাদক বিরোধী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশে ‘চরমপন্থী প্রচার’ ঠেকাতে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ফেসবুক
- পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে ঢাকা-যশোর পৌনে ২ ঘণ্টা
- দক্ষিণাঞ্চলে বইছে নব জাগরণের ঢেউ
- কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনসচেতন করতে ডিসি ইউএনওদের নির্দেশ
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ দেওয়ার নির্দেশ
- সম্ভাবনার নতুন দুয়ারঃ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প
- এবার ৫ থেকে ১২ বছর বয়সীদের দেয়া হবে করোনা টিকা
- সহজে-স্বচ্ছন্দে পদ্মা সেতু পার
- পদ্মা সেতুর জন্য সরকারের দেওয়া ঋণ শোধ হবে ৩৫ বছরে
- উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে: প্রধানমন্ত্রী
- পদ্মা সেতুতে নিরাপত্তা জোরদার, জলেস্থলে গোয়েন্দা নজরদারি
- ১৭ মহিষ নিয়ে দ্বন্দ্ব : হাইকোর্টের এজলাসে জামাই-শ্বশুরের কোলাকুলি
- প্রযুক্তির যে ১০ কাজের চাহিদা তুঙ্গে
- যেভাবে বিদায় দেওয়া হতো হাজিদের
- প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ন্যাশনাল ব্যাংকের অনুদান
- এখন গলাব্যথা হলে যা করবেন
- এইচএসসির শুরু থেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন ‘খ’ ইউনিটে প্রথম নাহনুল
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই এনসিসি ব্যাংকে চাকরি, বেতন ৪৪০০০
- বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ২৩০ কেজির আদনান সামি এখন ৭৫ কেজিতে!
- ক্রিমিয়ায় ন্যাটোর আগ্রাসন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৃষ্টি করবে
- কপালগুণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ
- সাঘাটায় মহিলা আওয়ামীলীগের সভা অনুষ্ঠিত
- গোবিন্দগঞ্জে স্থানীয় সরকার রংপুরের পরিচালকের মতবিনিময় সভা
- গোবিন্দগঞ্জে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- সাদুল্লাপুরে ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার
- গাইবান্ধায় চাহিদার চেয়ে ৫৫ হাজারের বেশি কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত্ব
- গাইবান্ধায় চাষ হচ্ছে সৌদি আরবের খেজুর
- আগামী মার্চে পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন
- পদ্মার এক পাঙাশ বিক্রি হলো ২৯ হাজারে
- গাইবান্ধায় পটলের বাম্পার ফলনে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে
- গাইবান্ধার বাদিয়াখালীতে তাল বিক্রির হিড়িক
- পাকা ও মিষ্টি কাঁঠাল চেনার উপায়
- গোবিন্দগঞ্জ সর. উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়-দোয়া
- সাদুল্লাপুরে সবুজের মাঝে উঁকি নানা রঙের ড্রাগন
- গাইবান্ধায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল
- গাইবান্ধার মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন!
- জুতো কিনতে কিনতে ক্লান্ত, খরচ বাঁচাতে পায়ে আঁকলেন জুতোর ট্যাটু
- তিন বিশ্বরেকর্ড পদ্মা সেতুর
- ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন না মেসি
- ঢাকা-জলপাইগুড়ি মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল শুরু আজ
- আর্জেন্টিনার কোপা জয় নিয়ে বানানো হবে ওয়েব সিরিজ
- গাইবান্ধার খাল বিলেপানিতে দেশী প্রজাতির মাছ ধরার ধুম
- বিকেলে মাঠে নামছে ব্রাজিল
- বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের চিত্রও
- একজন নারীর ছোঁয়ায় বদলে গেছে গাইবান্ধা পিটিআই
- গাইবান্ধায় ‘কাশখড়ে’ লাভবান চরাঞ্চলের মানুষ
