বাথরুমে কমোড ফ্লাশের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবেশীর,আদালতে দম্পতি
ঘটনার শুরু ২০০৩ সালে। চার ভাই মিলে তৈরি করেছিলেন এক বাড়ি। সেই বাড়িতে বিপুল খরচ করে বসিয়েছিলেন কমোড। তবে একটা খুঁত থেকে যায়। যা কিনা তাদের শেষ পর্যন্ত আদালতের দরজায় টেনে নিয়ে গিয়েছে। তাও আবার প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে।
ঐ ফ্ল্যাটেরই পাশেরটায় থাকেন এক দম্পতি। তাদের অভিযোগ, রাত্রিবেলায় পাশের ফ্ল্যাটের কমোডের ফ্লাশে এত জোরে শব্দ হয় যে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতি দিন রাতে এমনটা হওয়ায় রীতিমতো বিরক্ত হয়ে দম্পতি আদালতের দ্বারস্থ হন।
তারা দাবি করেন, পাশের ফ্ল্যাটের কমোডের ফ্লাশের শব্দ কমাতে হবে। এই শব্দের কারণে এতো দিন তাদের যে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছে তারও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির জেনোয়া শহরে।
তবে যত দ্রুত এর নিষ্পত্তি ভাবা হয়েছিল, তা হয়নি। প্রথম দফায় জেনোয়ার আদালত এই মামলাটি খারিজ করে দেয়। এর পরে ঐ দম্পতি উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানেও বিশেষ লাভ হয় না। এভাবেই চলতে থাকে। অবশেষে গত বছর তারা সিদ্ধান্ত নেন, বিষয়টি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সেখানে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয় শেষ পর্যন্ত।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে রায় ঘোষণা করেছে সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বলা হয়েছে বাথরুমে বিকট শব্দ হলে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। এভাবে কাউকে অতিষ্ট করা উচিত নয়। অতি দ্রুত টয়লেটের কাঠামো বদলাতে হবে এবং সেখানে যাতে এমন বিকট শব্দ না হয়, সে বিষয়ে দেখতে বলা হয়েছে ঐ চার ভাইকে।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চলা সমস্যার অবশেষে সমাধান হলো এবং তা আদালতের হস্তক্ষেপে।
সূত্র: আনন্দবাজার
দৈনিক গাইবান্ধা