শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:০৭, ১৮ জানুয়ারি ২০২২

পাকিস্তানের সেই তরুণীর সঙ্গে ৮ বছর প্রেম করেন সালমান!

পাকিস্তানের সেই তরুণীর সঙ্গে ৮ বছর প্রেম করেন সালমান!

সালমান খানকে বিয়ে করতে চেয়ে ফ্লোরিডা থেকে ছুটে এসেছিলেন ১৬ বছরের কিশোরী। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ওই কিশোরীর নাম সুমি আলী। জন্মের পর তার পরিবার চলে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। সেখানেই বড় হয়ে ওঠেন সুমি। সালমান খান অভিনীত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ দেখে মুগ্ধ হন তিনি। প্রেমে পড়ে যান সালমানের। ছুটে আসেন সুদূর ফ্লোরিডা থেকে। এ নিয়ে সোমবার বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফ্লোরিডা থেকে ভারতে আসা বিফলে যায়নি সুমির। ‘ভাইজান’-এর সঙ্গে আট বছরের প্রেম এবং বলিউডে নায়িকা হিসেবে সংক্ষিপ্ত ইনিংস পেরিয়ে ফিরে যান আমেরিকাতেই। সম্পর্ক ভাঙার দুঃখ বুকে নিয়ে মন দেন পড়াশোনায়। তার পরে সেখানেই একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন সুমি আলী। ঘরে নির্যাতনের শিকার নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়াই ওই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে আরও বলা হয়, জন্মসূত্রে পাকিস্তানি সুমির বলিউডি ছবি দেখে মুম্বাইয়ে পাড়ি দেওয়া মেয়ের নিজের জীবনটাও সিনেমার মতোই। সালমানের সঙ্গে প্রেম-বিয়ের স্বপ্ন দেখে ঘর ছেড়ে অচেনা দেশে। ভারতে এসে সোজা সালমানের শহর মুম্বাইয়ে। এক বছরের মাথায় সুমির প্রেমে পড়েন সালমানও। তারপর ৮ বছরের মাথায় সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছবিতেও কাজ করেছিলেন সুমি। কিন্তু সাফল্য আসেনি তাতেও। ফলে খালি হাতেই ফ্লোরিডায় ফিরে যান সালমানের ‘প্রাক্তন’। পড়াশোনা শেষ করে এর পরে সেখানেই গড়ে তোলেন এনজিও ‘নো মোর টিয়ার্স’।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুমি বলেন, “যে সম্পর্কে আনন্দ থাকে না, যে সম্পর্ক ভাল রাখে না, তা থেকে বেরিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। তবে সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলেও ওর থেকে, ওর পরিবারের থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি।”

দেড় লাখ ডলার সহায়তায় সালমান খান

সালমানের উদার মনের কথা বারবারই বলেছেন একদা অভিনেত্রী। প্রাক্তন প্রেমিকার উদ্যোগে তার পাশে দাঁড়িয়ে সেই প্রমাণ দিয়েছেন পর্দার ‘প্রেম’ও। শোনা গিয়েছে, সুমির সংস্থা কাজ শুরু করার প্রথম দিকে টাকার জোগানে হিমশিম খাচ্ছিল। সেই সময়েই তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন সালমান। সালমান ও তার বন্ধুরা মিলে ওই এনজিওর হাতে তুলে দেন দেড় লক্ষ ডলার!

কৃতজ্ঞ সুমি এই অনুদানের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সালমান ও তার বন্ধুদের জন্যই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে তার সংস্থা। তার পর সাহায্যের হাত বাড়াতে পেরেছে নিজের বাড়িতেই বিপন্ন মহিলাদের দিকে। শোনা যায়, একবার নয়, একাধিকবার সুমির এনজিওকে সাহায্য করেছেন সালমান।

সাক্ষাৎকারে সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা আরও বলেন, “আমি অবিবাহিত। তবে ‘নো মোর টিয়ার্স’-এর সঙ্গে সুখে সংসার করছি। আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার এনজিওই।” আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুমির পরে একাধিক উথালপাথাল প্রেম করেছেন সালমান। তবে সুমি অবিবাহিতই রয়ে গিয়েছেন এখনও।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ