আগামীকাল শেষ হচ্ছে ৭ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন
দ্বিতীয়বারের মতো দেশের সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা। তাই পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের শেষ দিন আগামীকাল ১০ জুন। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ৩১ জুলাই। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তিচ্ছুদের জন্য আবেদনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, যেহেতু আগামীকাল পর্যন্ত আবেদনের মেয়াদ আছে, সেহেতু আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর আমাদের সঙ্গে আরো যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে বসে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে যেসব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যাল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তিচ্ছুরা ভর্তির ওয়েবসাইটে (https://admission-agri.org/) প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদন প্রক্রিয়া ১০ জুন শেষ হবে।
যারা আবেদন করতে পারবেন: ২০১৭/২০১৮ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯/২০২০ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই আবেদন করতে পারবে।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। জিসিই O এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।
মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণ প্রার্থীকে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে।
আবেদন ফি: ১০০০ টাকা দিয়ে নগদ, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। যে সব প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংগ্রহণের সুযোগ পাবে না তাদের আবেদন সংক্রান্ত প্রসেসিং ফি বাবদ ৩০০ টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট ৭০০ টাকা তাদের প্রদত্ত হিসাব নম্বরে ফেরত দেয়া হবে ।
পরীক্ষা: এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা ৩১ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি/সমমান পর্যায়ের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০. রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মেধা স্কোর: মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করতঃ মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।
দৈনিক গাইবান্ধা