বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ || ১৩ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ৯ মে ২০২৩

দুবাইয়ের রাজকীয় চা বানিয়ে দেশে ১৮ টি-স্টলের মালিক রাজা

দুবাইয়ের রাজকীয় চা বানিয়ে দেশে ১৮ টি-স্টলের মালিক রাজা

দুবাই থেকে দেশে ফিরে গাড়ির গ্যারেজে চাকরি নেন আজাহার উদ্দিন রাজা। তবে মন পড়ে থাকতো দুবাইয়ের রাজকীয় চায়ের দিকে। সাহস নিয়ে শুরু করলেন সেই রাজকীয় চা বানানোর কাজ। নাম দিলেন রাজা চা। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৮টি স্টল রয়েছে তার।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যালে কথা হয় রাজা চায়ের স্বত্বাধিকারী আজাহার উদ্দিন রাজার সঙ্গে। দেশের সব ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবারের মেলায় তার চা স্টলও স্থান করেছে। ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’ নামে এ ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

রাজা জানান, ২০১৮ সালে রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকায় ভ্যান গাড়িতে চা বিক্রি শুরু করেন। নাম দেন বিখ্যাত রাজা চা। কাজু বাদাম, জাফরান ও পেস্তা বাদামসহ নানান দামি সব উপকরণ দিয়ে শুরু হয় বিশেষ এই চায়ের দোকান।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে রাজা চায়ের সুনাম। হুমড়ি খেয়ে পড়ে ভোজনপ্রেমীরা। সেই ভ্যান গাড়ি থেকে শুরু হওয়া রাজা চায়ের আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দোকান রয়েছে।

রাজা বলেন, একসময় খুব কষ্ট করেছি। আজ সবার দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে সবকিছু বদলে গেছে। ভ্যান গাড়ি থেকে শুরু করা রাজা চায়ের দোকান রয়েছে ১৮টি। যেখানে ৭২ জন কর্মচারী কাজ করেন। যাদের বেতন ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা।

ফুড ফ্যাস্টিভ্যালে স্থান পেয়েছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডার স্টল, তেমনি রয়েছে রাজা চা, কুমিল্লা মাতৃভাণ্ডার, হাজি বিরিয়ানি, বিউটি লাচ্ছি, বগুড়ার দই, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, টাঙ্গাইলের চমচম থেকে শুরু করে দেশের সব ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবার।

একইভাবে পাঁচ তারকা হোটেলের খাবার নিয়ে উপস্থিত রয়েছে হোটেল ওয়েস্টিন, হোটেল শেরাটনের স্টল। এতে অংশ নিয়েছে দেশের বিখ্যাত ৪০টি খাবারের রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যেসব রেস্টুরেন্ট ও খাবারের আইটেম নিয়মিত মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হয় সেগুলো নিয়েই এই আয়োজন। এই ইভেন্টে আছে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের বিসমিল্লাহ কাবাব, আল-আমিন বাকরখানি ও রুটি, মোহাম্মদপুরের মুস্তাকিমের চাপ ও বোবার বিরিয়ানি।

এছাড়া রয়েছে বারকোড ক্যাফে, সিস্টেম রেস্টুরেন্ট, সিলেটের পানসী রেস্টুরেন্ট, তুলশিমালা, মনিপুরি খাবার, কক্সবাজার সি ফুড, চিং’স কিচেন, আদর্শ মাতৃভাণ্ডার, ঘুড্ডি কমিউনিকেশনসের চায়না পিঠা ও নারিকেলের মাংস, জামতলার সাদেক গোল্লা, কুষ্টিয়ার কুলফি মালাই, সাতক্ষীরার সাগর সুইটস, খুলনার আব্বাস হোটেলের খাসির চুই ঝাল, পাবনার সতেজ’র নিমকি পাপড়, নওগাঁর মা প্যারা সন্দেশ, শম্পা দধি, টিওয়াই ফুডের প্যালকা ও ছ্যাঁকা, দিনাজপুরের চাল, চিড়া ও পাপড়সহ আরো অনেক স্টল।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ