মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২২ এপ্রিল ২০২১

‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আরো ৭ দিনের রিমান্ডে

‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আরো ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। 

এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি রফিকুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় রফিকুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। 

এদিকে গতকাল বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি রফিকুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওইদিন মতিঝিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথম মামলা হয়। এদিন রফিকুল ইসলাম মাদানিকে আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল গাছা থানা পুলিশ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন আদালতের বিচারক ১৫ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। পরে গাজীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তার দুদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। 

রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র‌্যাবের করা মামলায় ৮ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। পরের দিন র‍্যাব বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা করে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র‌্যাবের করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়