কারাগারে এ টি এম আজহারের মৃত্যু পরোয়ানা
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার দুপুরের পর এ পরোয়ানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায় বলে জানা গেছে।
কারাগার সূত্র জানা যায়, দুপুর ২টার পর লাল কাপড়ে মোড়ানো পরোয়ানাটি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছানো হয়। তবে কখন পড়ে শোনানো হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে গতকাল রোববার মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপিল বিভাগের চার বিচারপতির স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ের কপি প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন না করলে সরকার জেলকোড অনুযায়ী আজহারের ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন আজহার। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখেন। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর এ পর্যন্ত ছয়জনের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। এরা হলেন-জামায়তের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
দৈনিক গাইবান্ধা