শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

সীমান্ত হত্যা বন্ধে একমত বিজিবি-বিএসএফ

সীমান্ত হত্যা বন্ধে একমত বিজিবি-বিএসএফ

সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা ও নির্যাতন শূন্যের কোটায় আনার বিষয়ে বরাবরের মতোই আবারও একমত হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ভারতের আগরতলায় অনুষ্ঠিত বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার এবং বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার আইজি পর্যায়ের তিন দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিনে শুক্রবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। যদিও এর আগেও একাধিকবার সীমান্ত সম্মেলনে একই ধরনের সিদ্ধান্ত ও সমঝোতার কথা বলা হলেও সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বা নির্যাতন বন্ধ হয়নি বলে জানা যায়।

সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে শুক্রবার বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, এ সীমান্ত সম্মেলনে মোট ছয় দফা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া আগরতলায় সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রামের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

অন্যদিকে বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুমিত শরণের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

বিজিবি প্রতিনিধি দলের প্রধান তানভীর গনি চৌধুরী সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৫ অনুসরণ এবং কার্যকরভাবে ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উভয় বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কার্যকর সিবিএমপি বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সীমান্ত সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সীমান্তে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা-আহত ও মারধরের ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় যৌথ টহল পরিচালনা, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও বেগবান করা এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণসহ সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

২. বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বিশেষ করে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ও নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ইত্যাদি পাচার রোধ, স্বর্ণ, অস্ত্র ও গরু চোরাচালান রোধে উভয় বাহিনীর মধ্যে তাৎক্ষণিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান এবং এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ও আটক করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

৩. সীমান্তে চোরাচালান ও মানব পাচার রোধে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

৪. আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে সীমানা অতিক্রম ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে বিরত রাখতে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

৫. আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ ও অননুমোদিত নির্মাণকাজ না করার বিষয়ে এবং বন্ধ থাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মত হন তারা।

৬. উভয় পক্ষই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য প্রীতি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ আয়োজন করার বিষয়ে পরস্পর পরস্পরকে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু