শেখ হাসিনার সততার সোনালি ফসল পদ্মা সেতু ॥ কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেছে মানুষ খুশি, কিন্তু ফখরুল সাহেবের মন খারাপ। দেশের মানুষ ভাল থাকলে ফখরুল সাহেবদের মন খারাপ হয়ে যায়। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শতভাগ সততার সঙ্গে শেষ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক নিজেরাও স্বীকার করেছে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সাহস ও সততার সোনালি ফসল এই পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের সামর্থ্যরে স্মারক এই পদ্মা সেতু। বাঙালী জাতির স্বপ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা সারাজাতির স্বপ্ন পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদেরকে অপবাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হেনস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, পুতুল, ববিসহ সবাইকে এই পদ্মা সেতুর জন্য হেনস্থা হতে হয়েছিল। অথচ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই সময় দেবেন। আমরা সময়মতো পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ সেতু বিভাগ থেকে প্রেস কনফারেন্স করে সমগ্র জাতিকে জানিয়ে দেব। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি বেলা ১১টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন। গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপির সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মির্জা আজম এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর ছয় বছর নির্বাসনে ছিলেন দেশরতœ শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। ছয় বছর পর আওয়ামী লীগ যখন কলহ, কোন্দলে জর্জরিত, তখন ঐক্যের প্রতীক হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সর্বসম্মতভাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ছয় বছর পর অনেক বাধা বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা, প্রতিরোধ ও স্বৈরশাসকের বাধার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে পদার্পণ করেন। তিনি দেশে এসেছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধ ফিরে এসেছে ‘জয়বাংলার’ জয়ধ্বনি, আবারও ফিরে এসেছে নিষিদ্ধ ৭ মার্চের ভাষণ।
তিনি আগামী নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে গাজীপুরের নেতৃবৃন্দকে অন্তর্কলহ বিরোধ মিটিয়ে ঐক্যবব্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন এভাবেই আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারব। দীর্ঘ ১৯ বছর পর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এর আগে গাড়ি বোঝাই করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও এলাকা থেকে বাদ্য বাজিয়ে প্রিয় নেতাদের ছবিযুক্ত ব্যানার ও পোস্টার বহন করে দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে পৌঁছেন।
দৈনিক গাইবান্ধা