শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ২০ জুলাই ২০২১

৩০ বছর বয়সীরা করোনা টিকার আওতায়

৩০ বছর বয়সীরা করোনা টিকার আওতায়

বেশিসংখ্যক মানুষকে করোনাভাইরাস টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সরকার টিকা নেয়ার বয়সসীমা বাড়াচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ৩০ বছর বয়সসীমার নাগরিকেরা এবার টিকার আওতায় আসবেন। 

কোভিড টিকাদান কর্মসূচি সংক্রান্ত কমিটির একটি ভার্চুয়াল সভায় রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা সুপারিশ করেছিলাম বয়সসীমা ১৮ বছরে নামানোর জন্য, কিন্তু সভায় সিদ্ধান্ত হয় বয়সসীমা আপাতত ৩৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করার এবং পর্যায়ক্রমে সেটিকে ১৮ বছরে নামিয়ে আনার।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর টিকাদান কর্মসূচির আওতা বাড়ানো ও বয়সসীমাকে ১৮ বছর করার সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করছি।’ তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি।

 

সভা সংশ্লিষ্ট সূত্ররা জানান, সরকার ঈদের ছুটির পর সীমিত ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন মানুষদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজধানীর বস্তিগুলোতে বসবাসকারী মানুষদের টিকা দেওয়া শুরু করবে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করাইল বস্তিতে বসবাসকারীদের ঈদুল আজহার পরপরই টিকা দেওয়া হবে।

এছাড়াও সরকার চীন থেকে আরও তিন কোটি ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা করছে।

এ পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সরবরাহ ঘাটতির কারণে বাধার মুখে পড়া টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রতি সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিন আসার পর আবারো চালু হয়েছে।

সরকার এ পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে ১ কোটি ৭৯ টিকা পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারত ও চীন থেকে উপহার পাওয়া ৩৩ লাখ ও ১১ লাখ ডোজ টিকা।

১৭ জুলাই পর্যন্ত দেশের ১ কোটি ১১ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৩ লাখ মানুষ দুটি ডোজই পেয়েছেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টিকা দেওয়ার। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭ হাজার ২৪০ জন রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরের ৬২টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন ডোজ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণ কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের দপ্তরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।

জানানো হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা দেবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, যারা টিকার জন্য নির্ধারিত জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে।

শরণার্থী শিবিরগুলোতে টিকাদান ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। যারা এ সময়ে টিকা নিতে পারবেন না, তাদের ২৫ ও ২৬ আগস্টে টিকা দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি শরণার্থীদের কোন টিকা দেওয়া হবে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু