• মঙ্গলবার   ২৮ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৩ ১৪২৯

  • || ০৫ রমজান ১৪৪৪

বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষে মোসলেমের সাফল্য!

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় পুষ্টি গুনাগুণ সমৃদ্ধ সবজি স্কোয়াশ চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক মোসলেম উদ্দিন। স্কোয়াশ খেতে কিছুটা মিষ্টি কুমড়ার মতো হলেও মিষ্টতা অনেক কম এবং সুস্বাদু। অল্প খরচে ও সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়। কৃষক মোসলেম উদ্দিনের স্কোয়াশ চাষে সফলতা দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক এই সবজি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

জানা যায়, কৃষক মোসলেম উদ্দিন জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি বে-সরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তিনি তার ২০ শতাংশ জমিতে ১০৩০টি স্কোয়াশ চারা লাগিয়েছেন। ইতোমধ্যে স্কোয়াশ গাছ গুলোতে ফল ধরতে শুরু করেছে। গত বছরের মতো এবছরও তিনি স্কোয়াশ চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

স্কোয়াশ চাষি মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি এবছর একটি বে-সরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমার ২০ শতাংশ জমিতে ১ হাজার ৩০টি স্কোয়াশ চারা রোপন করি। স্কোয়াশ চাষে কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করিনি। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করায় বিষমুক্ত ভাবে পুষ্টি গুনাগুণ সমৃদ্ধ সবজি স্কোয়াশ চাষ করছি। বর্তমানে জমিতে থাকা স্কোয়াশের গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় ফুল ধরার পাশাপাশি স্কোয়াশ গুলোও বড় হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রোপনের ৮০-৪৫ দিনের মধ্যেই স্কোয়াশ বিক্রির উপযুক্ত হয়। একেকটি গাছ থেকে প্রায় ৫-৬টি স্কোয়াশ সংগ্রহ করা যায়। স্কোয়াশ চাষে আমার ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে প্রথম দিকে প্রতি পিস স্কোয়াশ বিক্রি হয়ে থাকে ৩০-৪০ টাকায়। গত বছর স্কোয়াশ চাষ করে ৩৫ হাজার টাকা আয় করেছিলাম। আশা করছি এবছর ৫৫-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো।

স্কোয়াশ খেতে মিষ্টি কুমড়ার মতো হলেও এর মিষ্টতা অনেক কম এবং এটি খুব সুস্বাদু। স্বল্প খরচে ও কম সময়ে চাষ করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষক মোসলেম উদ্দিন চাষ করেছেন। তার এই সফলতা দেখে প্রতিবেশী কৃষকরাও স্কোয়াশ চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, স্কোয়াশ খেতে খুবই সুস্বাদু। এতে কোলেস্ট্রোলের পরিমান খুবই সামান্য। আর এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হার্টের জন্য খুব উপকারী।

দৈনিক গাইবান্ধা
দৈনিক গাইবান্ধা