নীলফামারীতে লাউয়ের দামে কৃষকের মুখে হাসি!
নীলফামারীতে বেড়েছে লাউয়ের চাষ। এ অঞ্চলের মাটি লাউ চাষের উপযোগী হওয়ায় কয়েক বছর যাবত লাউয়ের বাম্পার ফলন হচ্ছে। বাজারে ভালো দাম ও লাউয়ের বাম্পার ফলন হওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে লাউয়ের চাষ। এছাড়াও এঅঞ্চলের লাউয়ের বেশ কদর রয়েছে। বাজারে লাউয়ের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
জানা যায়, এই জেলায় প্রায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লাউয়ের আবাদ হয়েছে। এই জেলায় একই জমিতে ৩ বার রবি শস্য ও সবজির চাষ করা যায়। লাউয়ের পাশাপাশি কুমড়ো, লাল শাক, টমেটো, পেপে, কপি, ঢেড়স, বরবটি, পুইশাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করা হয়।
সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শনুরাম রায় বলেন, এবছর তিনি ৪৫ শতাংশ জমিতে মাচা করে দেশী ও হাইব্রিড জাতের লাউয়ের চাষ করেন। জমিতে লাউয়ের ভলো ফলন হয়েছে। লাউ চাষে প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছেন লাউ বিক্রি করে খরচ বাদে অনেক লাভবান হবেন।
কৃষক দিপু রায় বলেন, আমি কয়েক বছর যাবত লাউ চাষ করে আসছি। অল্প মূলধনে ও কম সময়ে লাউ চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তাই দিন দিন লাউ চাষ বাড়ছে। এখানকার লাউ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। আমার সবজির বাগান থেকে ২-৩ দিন পরপর ২০০-৩০০ লাউ তুলে বিক্রি করতে পারি। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ২৫-৫০ টাকায় বিক্রি করি। আবার একসাথে ১০০ লাউ ৪-৫ হাজার টাকায়ও বিক্রি করে থাকি।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আগে এই অঞ্চলে লাউয়ের চাষ কম হতো। বর্তমান বাজারে লাউয়ের ভালো দাম থাকায় চাষিরা লাউ চাষে ঝুঁকছেন। লাউয়ের পাশাপাশি কুমড়ো, লাল শাক, টমেটো, পেপে, কপি, ঢেড়স, বরবটি, পুইশাকসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষি অফিসাররা নিয়মিত মাঠে যেয়ে কৃষকদের সহযোগীতা করছেন।
দৈনিক গাইবান্ধা