কলা চাষে সফল আব্দুল হান্নান!
পলাশবাড়ী পৌরসভার মহেশপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান কলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। পেশায় মাদ্রাসার সহকারি সুপার হলেও চাষাবাদে তিনি খুব মনোযোগী। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবে তিনি সফল হয়েছেন বলে জানান।
জানা যায়, আব্দুল হান্নান দূর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপার। তিনি সহ তারা পাঁচ ভাই কলা চাষ করছেন। তাদের বাবা একজন আদর্শ চাষি ছিলেন। তাই তারা চাকরি করলেও বাবার রেখে যাওয়া জমিতে কলা চাষ করে সফল হয়েছেন।
কলা চাষি আব্দুল হান্নান বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে কলার চাষ করি। কলা চাষ বেশ লাভবান হয়েছি। আমার বাবা একজন আদর্শ চাষি ছিলেন। চাষাবাদ করে আমাদের পড়াশোন করিয়েছেন। আজ আমরা চাকরি করলেও বাবার রেখে যাওয়া জমিতে চাষাবাদ করি। আমরা পাঁচ ভাই মোট ১৭ বিঘা জমিতে কলার চাষ করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কিছু কিনে খেতে হয় না। জমিতে সব কিছুই ফলাচ্ছি। পুকুরে মাছ আছে, গোয়ালে গাভী আছে। কলার জমির আইলে বিভিন্ন প্রকারের সবজি গাছ লাগাই। বর্তমানে আমার ৪ বিঘা জমিতে রঙিন সাগর কলা লাগিয়েছি। এবছর কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ৩৬০-৩৭৫ টি গাছ লাগানো যায়। এসব কলা জমি থেকেই ৪৫ হাজার টাকা শতকরা বিক্রি করে দিয়েছি। এই পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো দেড় থেকে দুই লাখ টাকার কলা বিক্রি করতে পারবো।
কয়েকজন কলা চাষি জানান, প্রথম চালানে কলার গাছ কেটে ফেলার পর সেই গাছের গোড়া থেকে আবার কলার কুশি গাছ বের হয়। সেই কুশিগাছ চাষ করে দ্বিতীয় চালান বিক্রি করা যায়। এভাবেই একজন কলা চাষি দুইবার কলা বাজারজাত করতে পারেন।
কলা ব্যবসায়ী বাদশা ও জামাল বলেন, হান্নান সাহেবের জমির কলার মান খুবই ভালো। বাজারে বেশ কদর থাকায় আমরা প্রতিবছর তার কাছ থেকে কলা নিয়ে যাই। এবছর ৪শ কলার ছড়ি কিনেছি ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, কলা একটি জনপ্রিয় ফল। কলায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কৃষি বিভাগ কলা চাষিদের পরামর্শ ও সর্বাত্বক ভাবে সহযোগীতা করছে।
দৈনিক গাইবান্ধা