মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ || ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

পান চাষে বদলে গেছে দুই শতাধিক কৃষকের জীবন

পান চাষে বদলে গেছে দুই শতাধিক কৃষকের জীবন

দেশের উত্তরের কৃষিনির্ভর জেলা পঞ্চগড়ের কৃষি অর্থনীতি দিনদিন চাঙ্গা হচ্ছে। চা, কমলা, মাল্টা, টিউলিপের মতো বাণিজ্যিকভাবে এখানে চাষ হচ্ছে অর্থকারী ফসল পান। 

এখানকার উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। পানের বরজ করে জীবন বদলে গেছে সেখানকার দুই শতাধিক চাষির। সম্ভাবনাময় এই দীর্ঘমেয়াদি ফসলটি প্রায় তিন দশক ধরে চাষ হয়ে আসছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় মোট বরজ পানের আবাদ রয়েছে ১৪ হেক্টর জমিতে। এসব পানের আবাদ হয় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউপির কয়েকটি গ্রামে।

সরেজমিন ইউপির নালাগঞ্জ, জিন্নাতপাড়া, পাহাড়বাড়ি ও ঘাগড়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে ছোট-বড় শত শত বরজ। এসব বরজের ভেতরে চোখ জুড়ানো সারি সারি পানের গাছ যেমন সৌন্দর্য বর্ধন করছে, তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধি এনেছে চাষিদের।

চাষিরা জানান, এখানকার উৎপাদিত পানের কদর থাকায় বাজারজাত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এই পান কিনতে সপ্তাহের শুক্রবার ও মঙ্গলবার ভোরে হাড়িভাসা বাজারে ছুটে আসেন বিভিন্ন জেলার পাইকাররা।

নালাগঞ্জ এলাকার চাষি জসিম উদ্দীনের পানের বরজ এক বিঘা জায়গা জুড়ে। ২০ বছরের পুরোনো এই বরজই তার পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতি বছর বরজ পরিচর্যার সব খরচ বাদ দিয়েও আয় হতো এক থেকে দেড় লাখ টাকা। তবে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন কমে এসেছে লাভের পরিমাণ। 

জসিম উদ্দীন নামে আরেক চাষি বলেন, পানের বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দেয়। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে না পারায় অনেক সময় কার্যকরী বালাইনাশক প্রয়োগ করতে পারি না। এজন্য আমাদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ প্রয়োজন হয়।  

জাকির হোসেন বলেন, এখানে পান চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বরজ করার শুরুটা ব্যয়বহুল। ফলে অনেকের আগ্রহ থাকলেও পান চাষ করতে পারছেন না। যদি আগ্রহী চাষিরা সরকারি সহযোগিতা পায় তাহলে এখানে চাষের পরিমাণ বাড়বে এবং অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধি আনবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দীন বলেন, কৃষকেরা মুঠোফোনেও যোগাযোগ করে বিভিন্ন পরামর্শ পেতে পারেন। পান চাষিদের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়