শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ৫ জুন ২০২২

``মামা আমি মারা যাচ্ছি, আমার মেয়ের মুখটা আর দেখা হলো না`

``মামা আমি মারা যাচ্ছি, আমার মেয়ের মুখটা আর দেখা হলো না`

‘আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। আমার কলিজার টুকরা মেয়েটির মুখ আর দেখা হলো না মামা। তুমি একটু দেখে রাখিও।’ মৃত্যুর আগে মামা মির হোসেনকে ফোন করে এসব কথা বলেছিলেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৩২)।

তিনি গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে ভাগ্নে বলা কথাগুলো উচ্চারণ করে হাউমাউ করে কাঁদছেন মামা মির হোসেন। তার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানও (৩২) রয়েছেন। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে।

মনিরের বড় মামা মির হোসেন সকালে হাসপাতালে এসে ভাগনের মরদেহ শনাক্ত করেন। মনির আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন। গেল দুই মাস আগে তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগদান করেন। তার দুই মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

মির হোসেন বলেন, দুদিন আগে কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারা দিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি। সকালে ফোন করে তাকে পাচ্ছিলাম না। তাই হাসপাতালে ছুটে এসেছি। আমি তাকে চিনতে পেরেছি, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কথাগুলো বলেই তিনি আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সময় যত যাচ্ছে দগ্ধ রোগী আর স্বজনদের আহাজারি ততই বাড়ছে। হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীর সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ